
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে কারানির্যাতিত প্রবাসীরা। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি আদায় না হলে রেমিট্যান্স বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরব আমিরাত ফেরত প্রবাসী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীরা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করে এবং রেমিট্যান্স বন্ধের কর্মসূচি পালন করে। মিছিলকে কেন্দ্র করে অনেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আমরা কয়েকশ’ প্রবাসী মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারি। সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন বাবু বলেন, ‘আমরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। না হলে আমরা রেমিট্যান্স বন্ধ করার মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। অন্য প্রবাসীরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে বসেছেন। রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতাৃসবার সঙ্গে বসেছেন। কিন্তু প্রবাসীদের সঙ্গে তিনি বসেননি। আমরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার সাক্ষাৎ চাই। না হলে কঠোর কর্মসূচি দেবো। এ সময় খালেদ সাইফুল্লাহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো
১. আরব আমিরাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যারা বিদেশ যেতে চান, সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে তাদের বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা। যাদের দেশে চাকরি দেওয়ার সুযোগ আছে, যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা। বিভিন্ন দেশে যারা ব্যবসায়ী ছিলেন এবং নতুন করে যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাদের ব্যাংক বা যেকোনও সংস্থার মাধ্যমে বিনা সুদে প্রয়োজনীয় লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা। যারা বয়স্ক তাদের বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে আসা।
২. সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশফেরত প্রবাসীদের নো-এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে। নো-এন্ট্রি তুলে নিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া।
৩. একই মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনও গ্রেপ্তার চলমান রয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়া বন্ধ করা। এছাড়া ওই মামলায় এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী বন্দি আছেন, তাদের অতি দ্রুত মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা।
৪. যারা প্রবাসীদের নামের তালিকা বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দিয়েছিলেন, তারাসহ সে সময়ের কূটনৈতিক, কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা।
৫. ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো একটি ট্রাস্ট গঠন করা, যাতে দেশের স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত যেকোনও প্রবাসী একটি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতরের তালিকায় কারানির্যাতিত হয়ে দেশে আসা প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান প্রবাসীরা। সেই অনুষ্ঠানের জন্য সম্মতি দেওয়া ও আমন্ত্রণ পৌঁছানোর জন্য সাত জনের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলন আরও ছিলেন প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ, ফরিদ শাহিন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
১. আরব আমিরাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যারা বিদেশ যেতে চান, সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে তাদের বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা। যাদের দেশে চাকরি দেওয়ার সুযোগ আছে, যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা। বিভিন্ন দেশে যারা ব্যবসায়ী ছিলেন এবং নতুন করে যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাদের ব্যাংক বা যেকোনও সংস্থার মাধ্যমে বিনা সুদে প্রয়োজনীয় লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা। যারা বয়স্ক তাদের বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে আসা।
২. সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশফেরত প্রবাসীদের নো-এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে। নো-এন্ট্রি তুলে নিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া।
৩. একই মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনও গ্রেপ্তার চলমান রয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়া বন্ধ করা। এছাড়া ওই মামলায় এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী বন্দি আছেন, তাদের অতি দ্রুত মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা।
৪. যারা প্রবাসীদের নামের তালিকা বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দিয়েছিলেন, তারাসহ সে সময়ের কূটনৈতিক, কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা।
৫. ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো একটি ট্রাস্ট গঠন করা, যাতে দেশের স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত যেকোনও প্রবাসী একটি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতরের তালিকায় কারানির্যাতিত হয়ে দেশে আসা প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান প্রবাসীরা। সেই অনুষ্ঠানের জন্য সম্মতি দেওয়া ও আমন্ত্রণ পৌঁছানোর জন্য সাত জনের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলন আরও ছিলেন প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ, ফরিদ শাহিন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।