
প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নারায়ণগঞ্জ জেলা গত ১৫ বছর ধরে কেন বঞ্চিত ছিল, প্রশ্ন রেখেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, এই নারায়ণগঞ্জ পুরো জেলাটাই হলো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মহানগরের আমির বলে গেলেন, এখানে কোনো মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাই। কেন? ২৬ লাখ মানুষের এই নগরী, প্রায় ৪০ লাখ মানুষের এই জেলা কেন বঞ্চিত হবে? আমরা দেখেছি কোনো কোনো জেলা মাত্র তিনটা উপজেলার। সেখানে ইউনিভার্সিটি আছে, মেডিকেল কলেজ আছে, উন্নততর স্পেশালাইজড হসপিটাল আছে, কারিগরি প্রতিষ্ঠান আছে, কৃষি ইউনিভার্সিটি আছে। তিন উপজেলার জেলায় যদি এসব থাকতে পারে তাহলে ৪০ লাখ মানুষ কি অপরাধ করেছে যে তাদের এখানে হলো না! তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের যেসব গডফাদার জমিদারি নিয়েছিলেন তারা কি করেছেন? তারা তাদের আপার কাছ থেকে এগুলি আদায় করেননি কেন? কারণ, তাদের ধান্ধাবাজি ছিল জমিদারি টিকিয়ে রাখা, মানুষের ওপর সন্ত্রাস করা এবং চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন দখলদারি চালিয়ে যাওয়া। জনগণকে নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না।
এই বৈষম্য-দুর্ভাগ্য শুধু নারায়ণগঞ্জের না সারাদেশের মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা এমন শিক্ষা আমাদের সন্তানদের দেব যেন তারা ধনী-গরিবে কোনো বৈষম্য করবে না। ধনীর সন্তান পিতার টাকায় আর গরিবের সন্তান সরকারের টাকায় লেখাপড়া করবে। কে শিশু কে পথশিশু -আমরা আর শুনতে চাই না। যে শিশু এদেশে জন্ম নিয়েছে তাকে আমরা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। লেখাপড়া শেষে সন্তানরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পর সার্টিফিকেট হাতে এলে কাজও চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। কাউকে আর বেকারত্ব দেখতে হবে না।
শেখ হাসিনার সরকার সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তিনটি মৌলিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পার্লামেন্ট, নির্বাহী ও বিচার ব্যবস্থার সব আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। একজন বিচারক যখন শপথ নেন তখন তিনি বলেন, আমি কারো প্রতি কোনো পক্ষ-বিপক্ষ অবলম্বন করব না, নিরপেক্ষ থাকব। যার যা পাওয়া বিচারে সে তাই পাবে। সে যখন বলে আমি অমুক দলকে অন্তরে ধারণ করি, তার পক্ষে কি ন্যায়বিচার সম্ভব? তাদের কেউ কেউ এদেশের নন্দিত গর্বিত ব্যক্তিদের রায় দেয়ার পর টক শোতে গিয়ে বলতেন, অমুককে আজ ফাঁসি দিয়ে এসেছি। নাম ধরে ধরে বলতেন। তিনি একজন বিচারপতি তিনি টকশোতে যাবেন কেন? তার তো বিচারাঙ্গনের বাইরে বিচরণের কথা নয়। সেই বিচারকরা সিলেট সীমান্ত দিয়ে পার হতে নিয়েছিলেন, জনগণ তাদের জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার করলেন। তার অপকর্ম ছিল আকাশচুম্বী। তাই বাংলাদেশে থাকতে চাননি। এরকম অনেকে পালিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা পালিয়ে যাবার পর জনগণ ধারণা করেছিল, এরা সাড়ে ১৫ বছর আমাদেরকে বড় জ্বালাতন করেছেন এখন তারা পালিয়ে গেছেন। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব। কিন্তু না, তারা পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থির করার জন্য মাঝেমধ্যে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। সেরকম একটা উসকানি দু-একদিন আগে তারা দিয়েছিলেন। এদেশের হাজার হাজার মানুষ যারা খুন গুম হলো, রক্তাক্ত, পঙ্গু হয়ে এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সে সময় আপনারা উসকানি দেন-এটা কি বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ সহ্য করবে? উসকানির কারণে যত পরিবেশ সৃষ্টি হবে তার সমুদয় দায় উসকানিদাতাদের নিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে বিদেশে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা দেশে থাকা অবস্থায় অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন মনে হতো তারা এযুগের তাপসী রাবেয়া। মনে হতো তিনি হাসান বসরী। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, আত্মগোপনে যাওয়ার পর যেখানেই তাদের ওপর হাত পড়ছে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে, অবৈধ সম্পদের খনি বের হয়ে আসছে। সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট দাবি, এরা এত বছরে যত টাকা জনগণের থেকে চুরি করে দেশে কিংবা বিদেশে পাচার করেছে সব উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। সেই টাকায় সুষম উন্নয়ন হবে। আমরা কোনো বৈষম্য চাই না।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মহানগরের আমির বলে গেলেন, এখানে কোনো মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাই। কেন? ২৬ লাখ মানুষের এই নগরী, প্রায় ৪০ লাখ মানুষের এই জেলা কেন বঞ্চিত হবে? আমরা দেখেছি কোনো কোনো জেলা মাত্র তিনটা উপজেলার। সেখানে ইউনিভার্সিটি আছে, মেডিকেল কলেজ আছে, উন্নততর স্পেশালাইজড হসপিটাল আছে, কারিগরি প্রতিষ্ঠান আছে, কৃষি ইউনিভার্সিটি আছে। তিন উপজেলার জেলায় যদি এসব থাকতে পারে তাহলে ৪০ লাখ মানুষ কি অপরাধ করেছে যে তাদের এখানে হলো না! তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের যেসব গডফাদার জমিদারি নিয়েছিলেন তারা কি করেছেন? তারা তাদের আপার কাছ থেকে এগুলি আদায় করেননি কেন? কারণ, তাদের ধান্ধাবাজি ছিল জমিদারি টিকিয়ে রাখা, মানুষের ওপর সন্ত্রাস করা এবং চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন দখলদারি চালিয়ে যাওয়া। জনগণকে নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না।
এই বৈষম্য-দুর্ভাগ্য শুধু নারায়ণগঞ্জের না সারাদেশের মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা এমন শিক্ষা আমাদের সন্তানদের দেব যেন তারা ধনী-গরিবে কোনো বৈষম্য করবে না। ধনীর সন্তান পিতার টাকায় আর গরিবের সন্তান সরকারের টাকায় লেখাপড়া করবে। কে শিশু কে পথশিশু -আমরা আর শুনতে চাই না। যে শিশু এদেশে জন্ম নিয়েছে তাকে আমরা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। লেখাপড়া শেষে সন্তানরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পর সার্টিফিকেট হাতে এলে কাজও চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। কাউকে আর বেকারত্ব দেখতে হবে না।
শেখ হাসিনার সরকার সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তিনটি মৌলিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পার্লামেন্ট, নির্বাহী ও বিচার ব্যবস্থার সব আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। একজন বিচারক যখন শপথ নেন তখন তিনি বলেন, আমি কারো প্রতি কোনো পক্ষ-বিপক্ষ অবলম্বন করব না, নিরপেক্ষ থাকব। যার যা পাওয়া বিচারে সে তাই পাবে। সে যখন বলে আমি অমুক দলকে অন্তরে ধারণ করি, তার পক্ষে কি ন্যায়বিচার সম্ভব? তাদের কেউ কেউ এদেশের নন্দিত গর্বিত ব্যক্তিদের রায় দেয়ার পর টক শোতে গিয়ে বলতেন, অমুককে আজ ফাঁসি দিয়ে এসেছি। নাম ধরে ধরে বলতেন। তিনি একজন বিচারপতি তিনি টকশোতে যাবেন কেন? তার তো বিচারাঙ্গনের বাইরে বিচরণের কথা নয়। সেই বিচারকরা সিলেট সীমান্ত দিয়ে পার হতে নিয়েছিলেন, জনগণ তাদের জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার করলেন। তার অপকর্ম ছিল আকাশচুম্বী। তাই বাংলাদেশে থাকতে চাননি। এরকম অনেকে পালিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা পালিয়ে যাবার পর জনগণ ধারণা করেছিল, এরা সাড়ে ১৫ বছর আমাদেরকে বড় জ্বালাতন করেছেন এখন তারা পালিয়ে গেছেন। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব। কিন্তু না, তারা পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থির করার জন্য মাঝেমধ্যে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। সেরকম একটা উসকানি দু-একদিন আগে তারা দিয়েছিলেন। এদেশের হাজার হাজার মানুষ যারা খুন গুম হলো, রক্তাক্ত, পঙ্গু হয়ে এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সে সময় আপনারা উসকানি দেন-এটা কি বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ সহ্য করবে? উসকানির কারণে যত পরিবেশ সৃষ্টি হবে তার সমুদয় দায় উসকানিদাতাদের নিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে বিদেশে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা দেশে থাকা অবস্থায় অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন মনে হতো তারা এযুগের তাপসী রাবেয়া। মনে হতো তিনি হাসান বসরী। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, আত্মগোপনে যাওয়ার পর যেখানেই তাদের ওপর হাত পড়ছে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে, অবৈধ সম্পদের খনি বের হয়ে আসছে। সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট দাবি, এরা এত বছরে যত টাকা জনগণের থেকে চুরি করে দেশে কিংবা বিদেশে পাচার করেছে সব উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। সেই টাকায় সুষম উন্নয়ন হবে। আমরা কোনো বৈষম্য চাই না।