খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সম্পত্তি রক্ষায় ন্যায়বিচার পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন মৃত আমান উদ্দিনের ছেলে মহালছড়ির কাঠ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। সরেজমিনে জামাল উদ্দিন বলেন, গত তিন যুগ ধরে আমরা তিন ভাই কবির আহমেদ, হোসেন আহমেদ ও আমি জামাল ৩ভাই জন্মলগ্ন থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যৌথ ফ্যামিলিতে ছিলাম। ১৯৮২ সালে মেজো ভাই হোসেন আহমেদ তিন ভাইয়ের নামে মহালছড়ি বাজারের ৩৭নং প্লটটি ১১ হাজার টাকা দিয়ে খরিদ করে আমাদেরকে ৩৮ হাজার টাকার কথা বলে। আমরা ২৮ হাজার টাকা মেজো ভাইকে প্রদান করি। ১৯৮৯ সালে ক্যাফে ইসলামাবাদ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামে মহালছড়ি বাজারে হোটেলটি আমি নিজ অর্থায়নে ৬মাস পরিচালনার পর হোসেন দোকানটি নিজে করবে বলে নিয়ে নেয়।
তৎকালীণ পিটিশন রাইটার মিন্টু চৌধুরীর ১/১০/২০০৯ সালে লিখিত জবানবন্দিতে জানা যায়, সজল বড়ুয়া থেকে কবির, হোসেন, জামাল যৌথ পরিবারে থাকাকালীন ক্রয়কৃত প্লটটি নাম পরিবর্তনের জন্য মিন্টু রাইটারের সাথে ৭ হাজার টাকা চুক্তি হয়। ১৯৮৭ সালে হোসেনের নামে নামজারীর জন্য জামাল ও হোসেনের নিকট হতে মামলা খরচের টাকা নেন মিন্টু চৌধুরী।
জামাল বলেন, মহালছড়ির দিপারু টিলায় ১৯৮৬/৮৭ সালে ২ভাইয়ের যৌথ নামে আঞ্চলিক দলিলে ১০গন্ডা বসত ভিটা ক্রয় করে যৌথভাবে বসবাস করে আসছিলাম। বনবীর বড়ূয়ার ভাতিজী কৃষ্ণ বড়ূয়া, হোসেন, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, তিন ছেলে শাকিল, সাগর, শাওন ও এক মেয়ে সুমাসহ ষড়যন্ত্র করে ২০হাজার টাকা বনবীর বড়ুয়াকে উৎকোচ দিয়ে যৌথ নামের আঞ্চলিক দলিল গোপন করে। গোপনে ২০০৭সালে মেজো ভাই তার ৩ ছেলের নামে ভূয়া আঞ্চলিক দলিল পরিকল্পিতভাবে সৃজন করেছে বলে ১১/১/২০০৯ সালের শালিশী রোয়েদাদে প্রমাণিত। এরপর, ২০১১সালে মেজো ভাই আমাকে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শালিশী বৈঠকে বসত ভিটার ১০গন্ডা ২ভাইয়ের নামে ২ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে, তখন থেকে আমার ভাইয়ের ছেলেরা আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক লাঞ্চিত করাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকী দিয়ে আসছে। ৩৭নং প্লট, নামার বাজারে ১টি ও বসতভিটা হতে প্রতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে ৩৪ বছর যাবত একাই ভোগ করছেন হোসেন। এ ৩টি জায়গার পরিবর্তে শালিসী বৈঠকে মেজো ভাই দেশ বাড়ির ১কানি জায়গা দেয়ার কথা গ্রাম্য শালিশীতে স্বীকার করাও ছিল তার একটি ষড়যন্ত্র।
মেজো ভাই শালিসী বৈঠেেকর সিদ্ধান্ত (চুক্তিপত্র) অমান্য করে থানায় জিডি করলে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে থানা তদন্ত রিপোর্ট দেয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করলে থানার তদন্ত রিপোর্ট মোতাবেক মামলা খারিজ হয়। জামাল উদ্দিন তার ন্যায্য অধিকার আদায় তথা তার সম্পদের ভাগ বুঝে পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃষ্টি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে হোসেন আহমেদের ছেলে সাগর বলেন, আমার বাপ-চাচাদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে জটিলতা দেশ বাড়ি চন্দনাইশে বসে মিমাংসা ছাড়া মহালছড়িতে নিরসন সম্ভব নয়।