গাইবান্ধা প্রতিনিধি
সাঘাটা উপজেলার ভূমিদস্যু পতিত স্বৈরাচারের দোসর আ’লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনগণ। গত সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন সাঘাটা উপজেলাবাসীর ব্যানারে বিক্ষুব্ধ জনগণ। এসময় অভিযুক্ত ওই ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দেয়া হয়।
সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন, অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারী, সাবেক ইউপি সদস্য সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই।
বক্তরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ঢাকা ও গাইবান্ধায় ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও ভাই সুজাউদদৌলা সুজাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা। গণ অভ্যুত্থানের পর তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে এতে নিজেদের হামলার নিহত হয় তাদের দুই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। পরে এ হত্যাকাণ্ড ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে সেনাসদস্য ও স্থানীয় জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। বক্তারা আরও বলেন, সুইট-সুজা নিজেদের অবৈধ স¤পদ রক্ষা ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে কখনো জাতীয় পার্টি আবার কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। প্রায় ২শ সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ।
সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক সাংসদ মাহমুদ হাসান রিপনকে তারা ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটায় ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি সুইটের। শুধু তাই নয়, যমুনা নদীবেষ্টিত ২০টি চর দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার বালি উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। তার ভয়ে সাধারণ জনগণ কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। মানববন্ধন শেষে মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সন্ত্রাসী বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী ও প্রধান উপদেষ্ট বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।