
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর বাজার ভায়া ঈশান গোপালপুর ইউপিসি ২৬৫০ মিটার এবং ইঞ্জিনিয়ার মামুনের অফিস হতে শিবরামপুর বুনিয়াদী স্কুল ভায়া ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ রোডের ১৪৭৮ মিটার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। জানা যায়, রাস্তা দুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) ২০২৪-২৫ ইং অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে ২টি কার্পেটিং কাজের জন্য যথাক্রমে ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ ও এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করলে কাজ দুইটি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিলন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স জি স্টার। পরবর্তীতে সাব ঠিকাদার হিসেবে ঠিকাদার মো. মাহাবুব কাজ করেন মেসার্স নিলন এন্টারপ্রাইজের কাজ এবং ও ঠিকাদার মো. মানোয়ার হোসেন করেন প্রতিষ্ঠান জি স্টারের কাজটি।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, রাস্তার কাজগুলো তদারকি করেন ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিদফতর সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছা মত কাজ করে যাচ্ছে বিধায় কাজের মান হচ্ছে নিম্নমানের।
তারা অভিযোগ করে আরো জানান, এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনও কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ হচ্ছে কাজে কোনো অনিয়ম নেই। কিন্তু তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়নি। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশলী বিস্তারিত জানানোর অধিকার রাখেন, আমার বক্তব্য দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই । ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি। তবে যে সকল জায়গায় কাজ হচ্ছে কাজগুলো ভালো হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ব্ল্যাক টপ উঠানো হয় নাই তাতে সমস্যা নেই। ওর উপর দিয়ে কাজ করলে রাস্তার কাজ আরো ভালো হবে, তাতে রাস্তায় কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার মো. মাহবুব ও মো. মানোয়ার হোসেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদাররা জানান, ফরিদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো শহীদুজ্জামান প্রায় দুই বছর ধরে ফরিদপুরে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই নয়টি উপজেলায় নিম্নমানের ব্রিজ, রাস্তা, কালভারট তৈরি হচ্ছে। নিন্মমান্মের কাজ হবার কারণে ইতিমধ্যেই নগরকান্দা উপজেলায় একটি ব্রিজ, ভাঙ্গা উপজেলায় একটি ব্রিজ, সদরপুরে একটি ব্রীজ কাজ চলমান অবস্থায় ভেঙে পড়ে যায়। এতে সরকারের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে এবং একাধিক উপজেলার রাস্তা নিন্মমানের হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তারপরে ও নির্বাহী প্রকৌশলী তার ইচ্ছামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো জানান, ৫ আগস্টের পরে ফরিদপুর থেকে অনেক কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি এলজিইডির প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামানের। আমরা দ্রুত তার অন্যত্র বদলির দাবি জানাচ্ছি।
নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে ফরিদপুরের এলজিইডির প্রকৌশলী মো শহিদুজ্জামান জানান, আমি যোগদানের পরে কোনো কাজ নিম্নমানের হয়নি। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কাজ চলছে।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর বাজার ভায়া ঈশান গোপালপুর ইউপিসি ২৬৫০ মিটার এবং ইঞ্জিনিয়ার মামুনের অফিস হতে শিবরামপুর বুনিয়াদী স্কুল ভায়া ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ রোডের ১৪৭৮ মিটার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। জানা যায়, রাস্তা দুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) ২০২৪-২৫ ইং অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে ২টি কার্পেটিং কাজের জন্য যথাক্রমে ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ ও এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করলে কাজ দুইটি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিলন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স জি স্টার। পরবর্তীতে সাব ঠিকাদার হিসেবে ঠিকাদার মো. মাহাবুব কাজ করেন মেসার্স নিলন এন্টারপ্রাইজের কাজ এবং ও ঠিকাদার মো. মানোয়ার হোসেন করেন প্রতিষ্ঠান জি স্টারের কাজটি।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, রাস্তার কাজগুলো তদারকি করেন ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিদফতর সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছা মত কাজ করে যাচ্ছে বিধায় কাজের মান হচ্ছে নিম্নমানের।
তারা অভিযোগ করে আরো জানান, এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনও কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ হচ্ছে কাজে কোনো অনিয়ম নেই। কিন্তু তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়নি। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশলী বিস্তারিত জানানোর অধিকার রাখেন, আমার বক্তব্য দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই । ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি। তবে যে সকল জায়গায় কাজ হচ্ছে কাজগুলো ভালো হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ব্ল্যাক টপ উঠানো হয় নাই তাতে সমস্যা নেই। ওর উপর দিয়ে কাজ করলে রাস্তার কাজ আরো ভালো হবে, তাতে রাস্তায় কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার মো. মাহবুব ও মো. মানোয়ার হোসেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদাররা জানান, ফরিদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো শহীদুজ্জামান প্রায় দুই বছর ধরে ফরিদপুরে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই নয়টি উপজেলায় নিম্নমানের ব্রিজ, রাস্তা, কালভারট তৈরি হচ্ছে। নিন্মমান্মের কাজ হবার কারণে ইতিমধ্যেই নগরকান্দা উপজেলায় একটি ব্রিজ, ভাঙ্গা উপজেলায় একটি ব্রিজ, সদরপুরে একটি ব্রীজ কাজ চলমান অবস্থায় ভেঙে পড়ে যায়। এতে সরকারের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে এবং একাধিক উপজেলার রাস্তা নিন্মমানের হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তারপরে ও নির্বাহী প্রকৌশলী তার ইচ্ছামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো জানান, ৫ আগস্টের পরে ফরিদপুর থেকে অনেক কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি এলজিইডির প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামানের। আমরা দ্রুত তার অন্যত্র বদলির দাবি জানাচ্ছি।
নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে ফরিদপুরের এলজিইডির প্রকৌশলী মো শহিদুজ্জামান জানান, আমি যোগদানের পরে কোনো কাজ নিম্নমানের হয়নি। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কাজ চলছে।