
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মহানগরীর আড়াংঘাটা থানা এলাকায় এবং বিকালে ফুলতলা এলাকায় দুটি দুর্ঘটনায় তারা নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন। আড়ংঘাটা থানার ওসি প্রদীপ কুমার মিত্র জানান, গত শুক্রাবর দিনগত রাত পৌনে ১০টার দিকে আড়াংঘাটা থানা এলাকার লতার বাইপাস মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলার পশ্চিমবিল পাবলা এলাকার নির্মল সেনের ছেলে পুষ্পেন সেন এবং প্রভাস মণ্ডলের ছেলে সৌরভ মণ্ডল নিহত হয়েছেন। ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে স্থানীয় আফিলগেট এলাকা থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এর পর তারা আবার খুলনা থেকে আফিলগেটগামী একটি পিকআপের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী পুষ্পেনের মৃত্যু হয় এবং সৌরভকে স্থানীয়রা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুজনের লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে, ফুলতলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান খান বলেন, ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা চৌদ্দমাইল এলাকায় বিকাল সোয়া ৪টার দিকে প্রাইভেটকার ও সিএনজির মধ্যে সংঘর্ষে হাফিজুর রহমান (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। নিহত হাফিজ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আনসার আলী আকনের ছেলে। আহতরা হলেন– খুলনার ফুলতলার যুগ্নীপাশা এলাকার তপু ইসলাম (২৮), যশোরের অভয়নগরের পোড়াখালী এলাকার ফারুক (৩৫) এবং তার স্ত্রী শিরীন (৩০), তাদের দুই সন্তান মেহেদী হাসান (১০) ও রুজাইনা (৭), খুলনার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আসলাম (৫), কুষ্টিয়ার আলমের ছেলে আকাশ (২৮), যশোরের অভয়নগরের কৃষ্ণ কুমার পালের ছেলে সৌমিক (১২)। পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ ২৯-৯১২৮) এবং যশোরের অভয়নগর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা ১৪ মাইল মিমু জুটস মিলের সামনে খুলনা-যশোর মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে প্রাইভেটকার ও মাহিন্দ্রার ড্রাইভারসহ ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের প্রথমে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হাফিজকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।