
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে আমরণ অনশন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই দিন ধরে চলা অনশনে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজও শিক্ষার্থীরা আদায় করেছেন কলেজের সামনের সড়কের ওপর। তবে তারা বলছেন, যতকিছুই হোক না কেন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেল থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে পরের দিন দুপুরে অনশন অবস্থায় আর এফ রায়হান, বেলাল হোসেন ও রানা আহমেদ নামে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মহাখালীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেয়া হয়। গতকালও অনশনরত অবস্থায় রানা আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, ও রাশেদ নামের তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রাশেদকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিতুমীর ঐক্যের দফতর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার বিকেলে থেকে অনশন শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আমরা সাত দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে Ñ
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে। ২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে। ৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে। ৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের একাডেমিক সকল কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেল থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে পরের দিন দুপুরে অনশন অবস্থায় আর এফ রায়হান, বেলাল হোসেন ও রানা আহমেদ নামে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মহাখালীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেয়া হয়। গতকালও অনশনরত অবস্থায় রানা আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, ও রাশেদ নামের তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রাশেদকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিতুমীর ঐক্যের দফতর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার বিকেলে থেকে অনশন শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আমরা সাত দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে Ñ
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে। ২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে। ৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে। ৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের একাডেমিক সকল কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।