অর্থনৈতিক রিপোর্টার
মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের পর্দা নেমেছে গতকাল শুক্রবার। বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিকেল ৪টায় মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও এদিন মেলা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এদিকে সমাপনী আয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, নামে আন্তর্জাতিক বললেও, দুঃখজনকভাবে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী এই মেলায় আসেন না।
গতকাল শুক্রবার বাণিজ্য মেলার সমাপনী আয়োজনে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। মেলা নিয়ে তিনি বলেন, নামে আন্তর্জাতিক বললেও, দুঃখজনকভাবে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী এই মেলায় আসেন না। মাসব্যাপী হওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেলায় আসতে আগ্রহী না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় দেশের ব্যবসায়ীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নিজেদের গড়ে তোলারও আহ্বান জানান। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ব্যবসায়ীরা নিজেরা সক্ষমতা না বাড়ালে দেশকে দুর্যোগে পড়তে হবে। এবারের আসরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিগগিরই ৩০তম মেলার প্রস্তুতি নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে শেষ মুহূর্তে এসে জমে ওঠে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ক্রেতা আকর্ষণে বিক্রেতারা দিয়েছেন নানা অফার। এতে অন্তত আরও একদিন মেলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন তারা। তবে চলতি বছর মেলার সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এর আগে গত এক জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।
এদিকে শেষদিন মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তীব্র ভিড়। বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিক্স, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। সকাল থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা থেকে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা- দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেন। বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগও নিয়েছেন তারা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বাণিজ্যমেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান ছিলো। স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখেন নি তারা। বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে তত মানুষের আগমন বাড়তে থাকে। মেলায় আগত ফাহিম নামে একজন ক্রেতা বলেন, আজ মেলায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভিড়। তবে আগারগাঁও যখন মেলা হতো তখন ব্যাপারটাই অন্যরকম ছিল। তবে এখানেও খারাপ না। বিদেশি স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হলে আরও বেশি মানুষ আসবে বলে আমি মনে করি।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের পর্দা নেমেছে গতকাল শুক্রবার। বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিকেল ৪টায় মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও এদিন মেলা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এদিকে সমাপনী আয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, নামে আন্তর্জাতিক বললেও, দুঃখজনকভাবে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী এই মেলায় আসেন না।
গতকাল শুক্রবার বাণিজ্য মেলার সমাপনী আয়োজনে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। মেলা নিয়ে তিনি বলেন, নামে আন্তর্জাতিক বললেও, দুঃখজনকভাবে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী এই মেলায় আসেন না। মাসব্যাপী হওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেলায় আসতে আগ্রহী না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় দেশের ব্যবসায়ীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নিজেদের গড়ে তোলারও আহ্বান জানান। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ব্যবসায়ীরা নিজেরা সক্ষমতা না বাড়ালে দেশকে দুর্যোগে পড়তে হবে। এবারের আসরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিগগিরই ৩০তম মেলার প্রস্তুতি নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে শেষ মুহূর্তে এসে জমে ওঠে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ক্রেতা আকর্ষণে বিক্রেতারা দিয়েছেন নানা অফার। এতে অন্তত আরও একদিন মেলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন তারা। তবে চলতি বছর মেলার সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এর আগে গত এক জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।
এদিকে শেষদিন মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তীব্র ভিড়। বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিক্স, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। সকাল থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা থেকে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা- দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেন। বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগও নিয়েছেন তারা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বাণিজ্যমেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান ছিলো। স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখেন নি তারা। বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে তত মানুষের আগমন বাড়তে থাকে। মেলায় আগত ফাহিম নামে একজন ক্রেতা বলেন, আজ মেলায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভিড়। তবে আগারগাঁও যখন মেলা হতো তখন ব্যাপারটাই অন্যরকম ছিল। তবে এখানেও খারাপ না। বিদেশি স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হলে আরও বেশি মানুষ আসবে বলে আমি মনে করি।