কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রামের একটি বাগানে সারি সারি দাড়িয়ে রয়েছে কুল গাছ। গাছ গুলো আকারে অনেকটাই ছোটো আকারের। ৪ থেকে ৫ ফুট গাছের উচ্চতা হবে। আপেলের রঙে ঝুলে থাকা কুলের ভারে ছোটো গাছগুলো প্রায় নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যে কারণে বাঁশ দিয়ে কুলের ডাল গুলোর নিচ থেকে বাশের ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। কুল বাগানটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে একজন ব্যক্তির পাকা কুল তোলার দৃশ্য। এ কাজে সহায়তা করছে আর ও দু,জন শ্রমিক।
সবাই কুল তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। পূর্বের কলা চাষ ছেড়ে মাত্র ৪ বিঘা জমিতে ৭ বছর আগে পছন্দের ফল হিসেবে শখের বসে শুরু করেন কুল চাষ। কাশ্মীরী আপেল, বল সুন্দরী,ভারত সুন্দরী জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করেন কালীগঞ্জের বেথুলি গ্রামের গোলাম রহমান। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় একে একে বাড়তে থাকে কুল চাষে জমির পরিমাণ।
বর্তমানে এই চাষীর ২৫ বিঘা জমিতে রয়েছে কুলের চাষ রয়েছে। ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ২২ লাখ টাকার কুল তিনি বিক্রিও করেছেন। গাছে এখনো যে ফল রয়েছে তাতে তিনি আশা করছেন ৩০ লক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। গোলঅম রহমান বানিজ্যিক ভিত্তিতে কুল চাষে সফল এই কৃষক বদলিয়েছেন নিজের ভাগ্য। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার সেরা কুল চাষী হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষ বাড়ার সম্মুখ ভাগের সফল কুল চাষী গোলাম রহমানের সাফল্যের গল্পটা এরকমই। তিনি উপজেলার বেথুলী গ্রামের ওহাব মোল্লার ছেলে। তিনি বলেন,গত বছর প্রায় ৩৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। এবছরও বাগানে ফলন ভালো হয়েছে। কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা পাইকারী দামে দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকাররা বাগান থেকে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইতিপূর্বে অন্য চাষ করতাম। কুল চাষ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে কুল বাগানে আমি জৈব সার এবং জৈব বলাই নাশক ব্যবহার করেন। এ বাগানে প্রায় ২৩০০ কুল গাছ রয়েছে। দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে ২০ জন শ্রমিক এ বাগানে কাজ করেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে ভালো লাভ হওয়ায় ভবিষ্যতে কুল চাষ বাড়িয়ে ১০০ বিঘা পর্যন্ত করার ইচ্ছা রয়েছে গোলাম রহমানের। গত ৭ বছরে কালীগঞ্জে ৬ গুন কুলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কালীগঞ্জ কৃষি অফিস জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫৫০ জন কুল চাষী রয়েছে। গতবছর উপজেলার ১১০ হেক্টর জমিতে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রার হিসাব ধরা হলেও কুল চাষ হয়েছিল ১০০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে পূর্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরে সম্ভাব্য ১৯৮০ মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি অফিস। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাগর হোসেন জানান, কুল চাষে যে সহজে লাভের মুখ দেখা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা সবচেয়ে বড় কুলচাষী গোলাম রহমান। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হয়। তার সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে কুল চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন,গোলাম রহমান একজন সফল কুল চাষী।উপজেলার অন্যান্য চাষীদের জন্য তিনি এখন উদহারণ। প্রতি বছর আমাদের এ উপজেলায় কুলচাষী বাড়ছে। কুল চাষে অল্প খরচে বেশি লাভ হয়। তা ছাড়া কুল চাষ পতিত জমিতেও হয়। এ জন্য কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে ঝুঁকছেন।আমরাও তাদেরকে নানাভাবে সহায়তা প্রদান করছি।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রামের একটি বাগানে সারি সারি দাড়িয়ে রয়েছে কুল গাছ। গাছ গুলো আকারে অনেকটাই ছোটো আকারের। ৪ থেকে ৫ ফুট গাছের উচ্চতা হবে। আপেলের রঙে ঝুলে থাকা কুলের ভারে ছোটো গাছগুলো প্রায় নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যে কারণে বাঁশ দিয়ে কুলের ডাল গুলোর নিচ থেকে বাশের ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। কুল বাগানটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে একজন ব্যক্তির পাকা কুল তোলার দৃশ্য। এ কাজে সহায়তা করছে আর ও দু,জন শ্রমিক।
সবাই কুল তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। পূর্বের কলা চাষ ছেড়ে মাত্র ৪ বিঘা জমিতে ৭ বছর আগে পছন্দের ফল হিসেবে শখের বসে শুরু করেন কুল চাষ। কাশ্মীরী আপেল, বল সুন্দরী,ভারত সুন্দরী জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করেন কালীগঞ্জের বেথুলি গ্রামের গোলাম রহমান। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় একে একে বাড়তে থাকে কুল চাষে জমির পরিমাণ।
বর্তমানে এই চাষীর ২৫ বিঘা জমিতে রয়েছে কুলের চাষ রয়েছে। ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ২২ লাখ টাকার কুল তিনি বিক্রিও করেছেন। গাছে এখনো যে ফল রয়েছে তাতে তিনি আশা করছেন ৩০ লক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। গোলঅম রহমান বানিজ্যিক ভিত্তিতে কুল চাষে সফল এই কৃষক বদলিয়েছেন নিজের ভাগ্য। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার সেরা কুল চাষী হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষ বাড়ার সম্মুখ ভাগের সফল কুল চাষী গোলাম রহমানের সাফল্যের গল্পটা এরকমই। তিনি উপজেলার বেথুলী গ্রামের ওহাব মোল্লার ছেলে। তিনি বলেন,গত বছর প্রায় ৩৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। এবছরও বাগানে ফলন ভালো হয়েছে। কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা পাইকারী দামে দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকাররা বাগান থেকে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইতিপূর্বে অন্য চাষ করতাম। কুল চাষ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে কুল বাগানে আমি জৈব সার এবং জৈব বলাই নাশক ব্যবহার করেন। এ বাগানে প্রায় ২৩০০ কুল গাছ রয়েছে। দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে ২০ জন শ্রমিক এ বাগানে কাজ করেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে ভালো লাভ হওয়ায় ভবিষ্যতে কুল চাষ বাড়িয়ে ১০০ বিঘা পর্যন্ত করার ইচ্ছা রয়েছে গোলাম রহমানের। গত ৭ বছরে কালীগঞ্জে ৬ গুন কুলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কালীগঞ্জ কৃষি অফিস জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫৫০ জন কুল চাষী রয়েছে। গতবছর উপজেলার ১১০ হেক্টর জমিতে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রার হিসাব ধরা হলেও কুল চাষ হয়েছিল ১০০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে পূর্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরে সম্ভাব্য ১৯৮০ মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি অফিস। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাগর হোসেন জানান, কুল চাষে যে সহজে লাভের মুখ দেখা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা সবচেয়ে বড় কুলচাষী গোলাম রহমান। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হয়। তার সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে কুল চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন,গোলাম রহমান একজন সফল কুল চাষী।উপজেলার অন্যান্য চাষীদের জন্য তিনি এখন উদহারণ। প্রতি বছর আমাদের এ উপজেলায় কুলচাষী বাড়ছে। কুল চাষে অল্প খরচে বেশি লাভ হয়। তা ছাড়া কুল চাষ পতিত জমিতেও হয়। এ জন্য কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে ঝুঁকছেন।আমরাও তাদেরকে নানাভাবে সহায়তা প্রদান করছি।