
* রিং বিক্রিতে চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন খোদ ডাক্তাররা
* অসুস্থ রোগী জানতে পারছেন না কোন রিং পরানো হচ্ছে
* কম দামের রিং বেশি দামে দেয়ার অভিযোগ রোগীদের
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের হার্টের রিং (করোনারি স্টেন্ট) বসানো নিয়ে ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি রিং বিক্রির চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে খোদ ডাক্তাররা। রোগীর হার্ট বা হৃদযন্ত্রে যে স্টেন্ট বা রিং স্থাপন করা হয়, সেটির গুণ-মান সম্পর্কে রোগী বা তার স্বজনের জানার তেমন কোনো সুযোগ থাকছে না। আসল বা নকল বুঝাও মুশকিল হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর মূল্য নিয়েও মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে না তাদের। হার্টের রিং নিয়ে বছরের পর বছর যে সিন্ডিকেটের বাণিজ্য চলছে তা-ও শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু দাম কমানোর পর দেখা গেল, এ খাতে তৈরি হয়েছে নতুন সিন্ডিকেট। আগে সবাই মিলেমিশে বাণিজ্য করলেও এখন সেই সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তিনটি কোম্পানির রিংয়ের দাম আগের মতো রেখে অন্যগুলোর কমানো হয়েছে। ওই তিন কোম্পানির রিং ছাড়া বাজারে এখন অন্য কোনো কোম্পানির রিংয়ের সরবরাহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানিগুলোর রিংয়ের মূল্য অন্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে না কমানোয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এ অসহায়ত্বের সুযোগে দেশে হার্টের রিং নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য করছে সরবরাহকারী ও চিকিৎসক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা চিকিৎসকদের মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিং সরবরাহ করে। রোগীর হার্টে একেকটি রিং স্থাপনের জন্য চিকিৎসকরা ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন নেন। কখনো কখনো কমিশনের একাংশ চলে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে রিংয়ের মূল্য বেড়ে যায়। অনৈতিক এ কমিশন বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ক্যাথল্যাবে দেখা গেছে, রোগীকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে যাওয়ার পর বাইরে স্বজনরা অপেক্ষা করেন। চুক্তি অনুযায়ী চিকিৎসকই পছন্দের কোম্পানির স্টেন্ট বা রিং সরবরাহ ও খরচের কথা জানাচ্ছেন। ক্যাথল্যাবের পাশেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা অপেক্ষা করেন। পছন্দের চিকিৎসক চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানির প্রতিনিধিকে ডেকে স্টেন্ট সংগ্রহ করছেন। এ প্রক্রিয়ায় রোগীর স্বজনদের পছন্দের সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ মৃত্যু হয় শুধু হৃদরোগে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে হার্টের রিংয়ের বার্ষিক বাজার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার। প্রতিবছর দেশে প্রায় ৩৫ হাজার স্টেন্ট বা রিং পরানো হয়। শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৯ হাজার স্টেন্ট লাগানো হয়।
হৃদরোগ চিকিৎসায় অতি গুরুত্বপূর্ণ মোট ২৩ ধরনের স্টেন্টের (রিং) দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিং (স্টেন্ট) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৬২ হাজার ৩৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬১ হাজার ৯২১ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৫৯ হাজার ১১৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৭৬ হাজার টাকার বদলে ৬৩ হাজার টাকায় এবং ওরসিরো মিশনের দাম ৮১ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৬ হাজার টাকা, স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৮৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬২ হাজার টাকা, জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৮৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৬ হাজার টাকা এবং নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের স্টেন্টের দাম ৭১ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ভারতে তৈরি স্টেন্টের দামও কমিয়েছে অধিদফতর। মেটাফোর ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৪৮ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইম মর্ফ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইমের স্টেন্ট ৬৫ হাজার ৫৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৯১ হাজার টাকার বদলে ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরোর দাম ৯৬ হাজার ৭৩২ টাকার বদলে ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্টের দাম ৩৩ হাজার ৫৯২ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্স রিং ৭৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফার দাম ৮৯ হাজার থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডমের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমে ৬৮ হাজার করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবোট ভাসকুলার কোম্পানির জিয়েন্স অ্যালাপাইন, বোস্টন সায়েন্টিফিক কোম্পানির সিনার্জি মেডট্রোনিক কোম্পানির রিসোলুট অনিক্স নামে তিনটি রিং ভারতে বিক্রি হয় ৫০ হাজার ৮৯২ টাকা করে। আর বাংলাদেশে এসব রিংয়ের প্রত্যেকটির মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। প্রায় তিন গুণ বেশি দামে বাংলাদেশে বিক্রি হয় এসব রিং। চিকিৎসক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মিলে রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে রিং বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়েও অতিরিক্ত তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এসব রিং। প্রতিদিন এ চক্রটি রোগীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকার অনৈতিক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে নির্বিকার।
সূত্র জানায়, বিশেষ গ্রুপকে সুবিধা দিতে মূল্য কমানোর নামে একটি চক্র নতুন করে রিং বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত সরবরাহকারীরা রিংয়ের মূল্য নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারি পাঁচ হাসপাতালে হার্টের রিং সরবরাহ বন্ধ করেছিলো। এতে বিপাকে পড়ে রোগীরা। একই সঙ্গে আদালতের দারস্থও হয়েছেন। হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নিধারণ কেন বৈষম্যমূলক, অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে ইতোমধ্যে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নতুন দাম নির্ধারণের আদেশ বা সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সচিব ও মহাপরিচালক রুলের জবাব দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু আদালত থেকে এখনও এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর হার্টের রিংয়ের বাজার তিনটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। নতুন নির্ধারিত মূল্যে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়া হয়েছে। ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জাতীয় নীতিমালা বা মার্কআপ ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়নি। ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম মূল্য নির্ধারণের আদেশ এর বড় প্রমাণ। অপরদিকে মার্কআপ ফর্মুলা অনুসরণ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ওই তিনটি রিংয়ের মূল্য ৭০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা করে। সিন্ডিকেট করে ওই তিন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ক্যাথল্যাবে প্রায় এক সপ্তাহ সরেজমিন দেখা গেছে, রোগীকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে যাওয়ার পর বাইরে স্বজনরা অপেক্ষা করেন। চুক্তি অনুযায়ী চিকিৎসকই পছন্দের কোম্পানির স্টেন্ট বা রিং সরবরাহ ও খরচের কথা জানাচ্ছেন। ক্যাথল্যাবের পাশেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা অপেক্ষা করেন। পছন্দের চিকিৎসক চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানির প্রতিনিধিকে ডেকে স্টেন্ট সংগ্রহ করছেন। এ প্রক্রিয়ায় রোগীর স্বজনদের পছন্দের সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ মৃত্যু হয় শুধু হৃদরোগে। দেশে হার্টের রিংয়ের বার্ষিক বাজার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার। প্রতিবছর দেশে প্রায় ৩৫ হাজার স্টেন্ট বা রিং পরানো হয়। শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৯ হাজার স্টেন্ট লাগানো হয়। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি স্টেন্ট লাগানো হয় মালিবাগ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা লুবাবা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার, গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতাল, ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন ও গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
প্রবীণ এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, কমিশন বাণিজ্য চিকিৎসকদের স্বভাব নষ্ট করে দিয়েছে। আগে শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিক্যাল টেস্ট থেকে কমিশন দেয়া হতো, ওষুধ কোম্পানি থেকে দেয়া হতো গিফট। এখন একশ্রেণির কার্ডিওলজিস্ট রীতিমতো রিং থেকেও কমিশন খান, যা শুনে আমরাই লজ্জিত। চিকিৎসক-সরবরাহকারী সিন্ডিকেটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক যুক্ত আছেন।
কার্ডিয়াক কেয়ারের বিক্রয় প্রতিনিধি তারেক বলেন, আমরা চিকিৎসকদের কমিশন দিয়ে স্টেন্ট বিক্রি করি না। মাদার কোম্পানি (অ্যাব্রড) বিভিন্ন সময়ে হৃদরোগের চিকিৎসা বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এর বাইরে স্টেন্ট বিক্রির জন্য চিকিৎসকদের কোনো কমিশন বা সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘কম দামের রিং রোগীদের সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কারণ কোম্পানিগুলো রিং সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এতে করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় পড়েছে। অনেকে চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যাচ্ছে। দ্রুত এ অবস্থার নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার ইক্যুইপমেন্ট অ্যান্ড ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর স্টেন্টের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও ট্যাক্স সংযুক্ত করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসব ইনক্লুড করা হলে আমদানিকারকদের জন্য ভালো হতো। সরকারি হাসপাতালে আমরা সরাসরি রিটেইল করি। বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে অনেক কোম্পানি কমিশনের ভিত্তিতে রিটেইল করে থাকে। চিকিৎসকদের কোনো কমিশন দিয়ে স্টেন্ট বিক্রি করি না।