ভার্টিগো : কতটা ভয়ানক এ রোগ চিকিৎসাই বা কী?

আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০২:৫১:২১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০২:৫১:২১ অপরাহ্ন
ভার্টিগো হলো মাথা ঘোরা অনুভূতি, যার সঙ্গে বমি বমি ভাব এবং চারপাশের সবকিছু ঘুরছে এমন অনুভূতি হতে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যার কারণে ঘটে, যা মানুষের অঙ্গবিন্যাস এবং ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দায়ী অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। ভার্টিগোর সমস্যায় রোগীর হঠাৎই অত্যধিক মাথা ঘোরা শুরু হয়। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মনে হয়, আপনি ঘুরছেন বা আপনার চারপাশের পৃথিবী ঘুরছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কানের ভেতরের সমস্যার কারণে ভার্টিগো হয়, যখন ক্ষুদ্র ক্যালসিয়াম কণা কানের খালে জমা হতে শুরু করে। ভার্টিগোর সমস্যা হলে আপনার অভ্যন্তরীণ কানকে মহাকর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত মাথা এবং শরীরের নড়াচড়া সম্পর্কে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে সক্ষম হতে বাধা দেয়। মনে হয় কানের ভেতর কিছু একটা বাজছে, সেই সঙ্গে শ্রবণশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়। ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস বা ল্যাবিরিন্থাইটিস আরেকটি অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যা, যা ভার্টিগোর কারণ হতে পারে এবং এটি সাধারণত সংক্রমণ-সম্পর্কিত ব্যাধি। এই সংক্রমণের ফলে কানের অভ্যন্তরে ব্যথা হয়। বিশেষ করে স্নায়ুর চারপাশে, যা শরীরের ইন্দ্রিয় ভারসাম্যের জন্য অপরিহার্য। বিরল ক্ষেত্রে ভার্টিগো আরও কয়েকটি কারণে হতে পারে। তা হলো— মাথা বা ঘাড়ে আঘাত, মস্তিষ্কের সমস্যা যেমন স্ট্রোক বা টিউমার, কিছু ওষুধ যা কানের ক্ষতি করে এবং মাইগ্রেনের মাথাব্যথা। ভার্টিগো হলে কিছু সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলো হলো বমি বমি ভাব, বমি, অস্বাভাবিক বা ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের নড়াচড়া, মাথা ব্যথা, অত্যধিক ঘাম এবং কানে বাজানো ও শ্রবণশক্তি হ্রাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভার্টিগোর লক্ষণগুলো কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে এবং আসতে পারে ও যেতে পারে। ভার্টিগোর চিকিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। কারণ আপনার মস্তিষ্ক মানিয়ে নিতে সক্ষম হয় এবং ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সাধারণত ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভেস্টিবুলার পুনর্বাসন এই চিকিৎসায় এক ধরনের শারীরিক থেরাপি দেওয়া হয়, যা আপনার ভেস্টিবুলার সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করা। এই চিকিৎসাটি খুব সহায়ক হতে পারে, কারণ ভেস্টিবুলার সিস্টেমের প্রাথমিক কাজ হলো মহাকর্ষের সাপেক্ষে মাথা এবং শরীরের গতিবিধি সম্পর্কে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানো। আপনি যদি ক্রমাগত ভার্টিগোর সম্মুখীন হন, তবে এই ধরনের চিকিৎসার সুপারিশ করা যেতে পারে। কারণ এটি আপনার অন্যান্য ইন্দ্রিয়কে ভার্টিগোর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে সাহায্য করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার ভার্টিগোর উপসর্গগুলো উপশম করতে সাহায্য করার জন্য ওষুধের সুপারিশ করতে পারেন, যার মধ্যে বমি বমি ভাব বা মোশন সিকনেস অন্তর্ভুক্ত। যেসব ক্ষেত্রে ভার্টিগো কোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে হয়, সেক্ষেত্রে ডাক্তার ফোলা কমাতে এবং সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েডের পরামর্শ দিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার ভার্টিগোর জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। ভার্টিগো যদি আরও গুরুতর অন্তর্নিহিত সমস্যার কারণে হয়, যেমন টিউমার বা মস্তিষ্ক বা ঘাড়ে আঘাত, সেই সমস্যাগুলোর জন্য অস্ত্রোপচার ভার্টিগো উপশম করতে সাহায্য করে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net