
* বিলুপ্তি চেয়ে শ্রম অধিদফতরের ডিজির বরাবর আবেদন
শ্রম আইন উপেক্ষা করে মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসছেন। রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন-এর মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও আবুল কালাম আজাদ নিজে নিজেই কমিটি গঠন করে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এর আগে আবুল কালাম আজাদ নিজের পারিবারিক সদস্যার কথা উল্লেখ করে গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে নিজে পদত্যাগ করে কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-এক মজিবর রহমানের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর মো. আবুল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মজিবর রহমানের কাছ থেকে পুনরায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে নেন। যাহা শ্রম আইন ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড আইন ২০০৬-এর পরিপন্থী জোরপূর্বক দায়িত্ব নেয়ার পর আবুল কালাম আজাদ মোটা অংকের টাকার বিনিময় টাংগাইল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন করেন। মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আরো নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি চাকরি যোগদনের ক্ষেত্রে দুই ধরনের তারিখ উল্লেখ করেছেন। চাকরিতে যোগদান গত দুই ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ সালে এবং জন্ম তারিখ দুই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে। আবুল কালাম আজাদ-এর এমপ্রয় কার্ডে শিক্ষাগতযোগ্যতা দেয়া আছে ৮ম শ্রেণি পাস এবং সেই অনুযায়ী তিনি অবসারে যাবেন ৩০ ডিসেম্বর ২০৩০ সালে। কিন্তু এমপ্রয় কার্ড যার ইআরপি নং ১৪০০২৯৫০২ অনুযায়ী তিনি আসরে ২০৩০ সালে হলে তার নিয়ম অনুযায়ী জন্ম তারিখ হতে হবে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। উল্লেখ থাকে যে, এমপ্রয় কার্ডে দুই ধরনের চাকরির পদবি এসবিএবি ও ইলেক্সিসিয়ান। একই ব্যক্তির দুই ধরনের পদবি রয়েছেন এটাও তিনি বিধি বহির্ভুত কাজ করেছেন। মো. আবুল কালাম আজাদ নিজেই অবৈধ কমিটির প্রভাব খাটিয়ে একই সঙ্গে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক এসএসসি (বিজ্ঞান) না থাকা সত্ত্বেও দুই ধরনের জন্ম তারিখ এবং দুই ধরনের চাকরির পদ ব্যবহার করছেন। সূত্র আরো জানান, আবুল কালাম আজাদ তিনি ১০ ঘোষিত কমিটিতে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। এই ৩০ জনের মধ্যে ২৭ জনই ১০/১২ বছর আগে গেছেন। অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়ে তিনি নিজের মতো করে কমিটি দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের আরো নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন, রেজিঃ নং-১৮৮৬, টাঙ্গাইল জেলা কমিটি পক্ষে নুরুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এছাড়াও এই অবৈধ কমিটির বিলুপ্তি চেয়ে মহাপরিচালক শ্রম অধিদফতরের বরাবর ও অভিযোগ দিয়েছেন গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে। এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি একটি মিটিং-এ আছেন তবে পরে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।