ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এই রেড অ্যালার্ট কবে জারি করা হয়েছে তা জানাননি অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দেশটির রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে এরইমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারে এরই মধ্যে পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফেরত আনতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দিল্লির তরফে ওই চিঠির কোনো জবাব এখনও আসেনি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর-জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি, তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্বসমাজে কী পদক্ষেপ নেবো, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ যেমনভাবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছিল, হাসিনাও তেমনই বলতে পারেন- তিনি তার দেশের সরকারকে বিশ্বাস করেন না এবং তার প্রতি অবিচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।
এছাড়া, সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আওতায় বিচারপতি নিয়োগে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্র্বতী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দেশটির রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে এরইমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারে এরই মধ্যে পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফেরত আনতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দিল্লির তরফে ওই চিঠির কোনো জবাব এখনও আসেনি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর-জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি, তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্বসমাজে কী পদক্ষেপ নেবো, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ যেমনভাবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছিল, হাসিনাও তেমনই বলতে পারেন- তিনি তার দেশের সরকারকে বিশ্বাস করেন না এবং তার প্রতি অবিচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।
এছাড়া, সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আওতায় বিচারপতি নিয়োগে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্র্বতী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।