যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দায়িত্ব গ্রহণের পরই ২০০ টি’র বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
এর মধ্যে ছিল আইনত বাধ্যতামূলক আদেশ এবং প্রেসিডেন্টের অন্যান্য নির্দেশাবলী। আবার অনেকগুলো আদেশেই বাতিল হবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত নীতি।
নির্বাহী আদেশ হচ্ছে ফেডারেল সরকারকে দেওয়া প্রেসিডেন্টের লিখিত আদেশ, যে আদেশ বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না। অর্থাৎ, এই আদেশবলে একজন প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটি ছাড়াই নীতি পরিবর্তন ঘটাতে পারেন।
তবে এই আদেশ আইনের আওতার মধ্যে থেকেই বাস্তবায়িত হতে হয় এবং কখনও কখনও এ আদেশগুলোর কিছু আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে পারে। বিশেষ করে অভিবাসনের মতো নীতিগুলোর ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।
রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির ক্ষমতাবলে গণহারে অভিবাসী বিতাড়ন, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কমানো এবং আরও বহু বিষয়ে একতরফাভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেগুলো পূরণ করতেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশ সইয়ের এই পদক্ষেপ নেন তিনি।
শপথ নেওয়ার আগের দিন বিজয় সমাবেশে ট্রাম্প তার সমর্থকদের বলেন, তিনি শপথ গ্রহণের পর ‘ঐতিহাসিক গতি ও শক্তি’ নিয়ে কাজ শুরু করবেন। সমর্থকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনারা এমন নির্বাহী আদেশ দেখবেন যাতে আপনারা খুশি হবেন।
এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দেশের সংকট সমাধান এবং আমেরিকাকে সঠিক পথে পরিচালিত করা হবে বলে ট্রাম্প মন্তব্য করেন। আর শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাইডেনের প্রশাসনের প্রতিটি উগ্র এবং অবিচক্ষণ নির্বাহী আদেশ বাতিল করা হবে বলেও জানান ট্রাম্প।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সই করেছিলেন ২২০ টি নির্বাহী আদেশ। এর মধ্যে কয়েকটি আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল।
আর বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন তিনি সই করেছিলেন ১৬০ টি নির্বাহী আদেশ। আর এর আগে বারাক ওবামা এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে সই করেছিলেন যথাক্রমে ২৭৭ এবং ২৯১ টি নির্বাহী আদেশ।