চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিনা টেন্ডারে দুই ঠিকাদারকে দুই কোটি টাকার কাজ দিলেন সাবেক ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি। জরুরি কাজ দেখিয়ে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার পর বিনা টেন্ডারে পছন্দের ঠিকাদারদের এসব কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এক সড়কে একাধিক নামে সাতটি প্রকল্প দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পটিয়া থেকে তিনি অন্যত্র বদলি হওয়ায় রাতারাতি এসব কাজের প্রকল্প অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়।
মানা হয়নি প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৬ ও ২০০৮। এ কারণে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্চা গেছে। একইভাবে ৬০/৭০টি টিউবওয়েল বিভিন্ন নেতার অনুরোধে বরাদ্দ দেয়া হলেও বাকি শতাধিক টিউবওয়েল প্রতিটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমদ জানান, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক বাদ দিয়ে উপজেলার শোভনদণ্ডীর একটি সড়কে একাধিক নামে সাতটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। একই ঘটনা খরনা ইউনিয়নেও ঘটেছে। এ কারণে লিখিত বেশ কয়েকটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। সাবেক ইউএনও ১০টি (রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন) আরএফকিউ প্রকল্প ও প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে এসব কাজ বিনা টেন্ডারে দিয়েছেন।
গত ১৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সম্পন্ন হওয়ার আগেই এ চারটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন প্রকল্পের জন্য আগে থেকে মনোনীত ঠিকাদার। মোট ১০টি আরএফকিউ’র মধ্যে চারটি প্রকল্পকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারকে পরিষদের তহবিল থেকে আগাম বিল দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপজেলা পরিষদের পুকুরের ঘাট নির্মাণে ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা, উপজেলা পরিষদের পুকুরের দক্ষিণ পারে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৬৪ হাজার এবং ছনহরায় ছয় লাখ ৪৬ হাজার টাকার প্রকল্প রয়েছে। অন্য ছয়টি আরএফকিউ প্রকল্প হচ্ছে-উপজেলা পরিষদের বাসাবাড়ি মেরামতে তিন লাখ ৭৯ হাজার টাকা, ধলঘাট তেকোটা বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন শ্মশান সড়ক আরসিসি দ্বারা উন্নয়নে ছয় লাখ, খরনা ৪নং ওয়ার্ড আলী মাস্টার বাড়ি সড়কের পাশে প্যালাসাইডিং নির্মাণে ছয় লাখ, ধলঘাট তেকোটা সদ্ধমোর্দয় বিহারের পুকুরে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণে ছয় লাখ, শোভনদণ্ডী কুরাংগিরি মধ্যমপাড়া মরহুম সৈয়দ আলী বাড়ি সড়ক নির্মাণে ছয় লাখ, আশিয়ার পূর্ব বাথুয়া দক্ষিণ বাড়ি সংযোগ সড়ক নির্মাণে ছয় লাখ ও পূর্ব হাইদগাঁও ওমরা মিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এবং কবরস্থান সংযোগ সড়ক সংস্কারে ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলা পরিষদের মাসিক রেজুলেশন থেকে জানা যায়, বিনা দরপত্রে প্রকল্প কমিটিকে প্রতিটি দুই লাখ টাকা করে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার ৬৫টি প্রকল্প দেয়া হয়।
এসব কাজ টেন্ডারে বাস্তবায়ন হলে সরকারের শতকরা পাঁচ ভাগ টাকা কম খরচ হতো। এছাড়া ফরম বিক্রি করেও লাখ টাকা সরকার আয় করতে পারত। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযুক্ত পটিয়া উপজেলার সাবেক ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি দৈনিক জনতাকে জানান, আগাম নয়, দ্রুততার সঙ্গে যেসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেসব প্রকল্পের বিল দেয়া হয়েছে। মোট বাজেটের ৩০ ভাগ প্রকল্প করা হয়। সেই নিয়ম মেনেই বিনা টেন্ডারে এসব প্রকল্প দেয়া হয়েছে।ঠিকাদার মনোনয়নের ক্ষেত্রে যাদের সক্ষমতা আছে তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল। বিএনপির কিছু নেতার অনুরোধে এসব প্রকল্প করা হয়। আবার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে কেউ কেউ এসব প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ তুলছেন। একটি সড়কে একাধিক প্রকল্প দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণে কোনো অনিয়ম হয়নি বা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিনা টেন্ডারে দুই ঠিকাদারকে দুই কোটি টাকার কাজ দিলেন সাবেক ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি। জরুরি কাজ দেখিয়ে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার পর বিনা টেন্ডারে পছন্দের ঠিকাদারদের এসব কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এক সড়কে একাধিক নামে সাতটি প্রকল্প দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পটিয়া থেকে তিনি অন্যত্র বদলি হওয়ায় রাতারাতি এসব কাজের প্রকল্প অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়।
মানা হয়নি প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৬ ও ২০০৮। এ কারণে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্চা গেছে। একইভাবে ৬০/৭০টি টিউবওয়েল বিভিন্ন নেতার অনুরোধে বরাদ্দ দেয়া হলেও বাকি শতাধিক টিউবওয়েল প্রতিটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমদ জানান, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক বাদ দিয়ে উপজেলার শোভনদণ্ডীর একটি সড়কে একাধিক নামে সাতটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। একই ঘটনা খরনা ইউনিয়নেও ঘটেছে। এ কারণে লিখিত বেশ কয়েকটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। সাবেক ইউএনও ১০টি (রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন) আরএফকিউ প্রকল্প ও প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে এসব কাজ বিনা টেন্ডারে দিয়েছেন।
গত ১৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সম্পন্ন হওয়ার আগেই এ চারটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন প্রকল্পের জন্য আগে থেকে মনোনীত ঠিকাদার। মোট ১০টি আরএফকিউ’র মধ্যে চারটি প্রকল্পকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারকে পরিষদের তহবিল থেকে আগাম বিল দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপজেলা পরিষদের পুকুরের ঘাট নির্মাণে ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা, উপজেলা পরিষদের পুকুরের দক্ষিণ পারে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৬৪ হাজার এবং ছনহরায় ছয় লাখ ৪৬ হাজার টাকার প্রকল্প রয়েছে। অন্য ছয়টি আরএফকিউ প্রকল্প হচ্ছে-উপজেলা পরিষদের বাসাবাড়ি মেরামতে তিন লাখ ৭৯ হাজার টাকা, ধলঘাট তেকোটা বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন শ্মশান সড়ক আরসিসি দ্বারা উন্নয়নে ছয় লাখ, খরনা ৪নং ওয়ার্ড আলী মাস্টার বাড়ি সড়কের পাশে প্যালাসাইডিং নির্মাণে ছয় লাখ, ধলঘাট তেকোটা সদ্ধমোর্দয় বিহারের পুকুরে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণে ছয় লাখ, শোভনদণ্ডী কুরাংগিরি মধ্যমপাড়া মরহুম সৈয়দ আলী বাড়ি সড়ক নির্মাণে ছয় লাখ, আশিয়ার পূর্ব বাথুয়া দক্ষিণ বাড়ি সংযোগ সড়ক নির্মাণে ছয় লাখ ও পূর্ব হাইদগাঁও ওমরা মিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এবং কবরস্থান সংযোগ সড়ক সংস্কারে ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলা পরিষদের মাসিক রেজুলেশন থেকে জানা যায়, বিনা দরপত্রে প্রকল্প কমিটিকে প্রতিটি দুই লাখ টাকা করে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার ৬৫টি প্রকল্প দেয়া হয়।
এসব কাজ টেন্ডারে বাস্তবায়ন হলে সরকারের শতকরা পাঁচ ভাগ টাকা কম খরচ হতো। এছাড়া ফরম বিক্রি করেও লাখ টাকা সরকার আয় করতে পারত। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযুক্ত পটিয়া উপজেলার সাবেক ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি দৈনিক জনতাকে জানান, আগাম নয়, দ্রুততার সঙ্গে যেসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেসব প্রকল্পের বিল দেয়া হয়েছে। মোট বাজেটের ৩০ ভাগ প্রকল্প করা হয়। সেই নিয়ম মেনেই বিনা টেন্ডারে এসব প্রকল্প দেয়া হয়েছে।ঠিকাদার মনোনয়নের ক্ষেত্রে যাদের সক্ষমতা আছে তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল। বিএনপির কিছু নেতার অনুরোধে এসব প্রকল্প করা হয়। আবার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে কেউ কেউ এসব প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ তুলছেন। একটি সড়কে একাধিক প্রকল্প দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণে কোনো অনিয়ম হয়নি বা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি জানান।