ভ্যাটে উত্তপ্ত রাজনীতি

আপলোড সময় : ১৯-০১-২০২৫ ১২:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০১-২০২৫ ১২:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। সর্বশেষ সিপিডির সম্মানী ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। একইসুরে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। সাধারণ জনগণের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এরমধ্যদিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনীতি।
এরআগে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে হঠাৎ করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা (ভ্যাট) ও শুল্ক কর বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি হঠাৎ করে গ্যাসের দাম প্রায় ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে পণ্য ও সেবার খরচ যেমন বাড়বে তেমনি উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে। সরকারের এসব পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ  থেকে শুরু করে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দল ও অর্থনীতিবিদরা। এতে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ চাপের মধ্যে আছে। কর বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি আরও তীব্র হবে। বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়বে এবং গরিব ও মধ্যবিত্তদের জন্য জীবনযাপন অতি কঠিন হয়ে উঠবে।
দেশব্যাপী সব মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে : এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ সংক্রান্ত ঘোষণার পর থেকেই দেশব্যাপী সব মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ভোক্তা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল সব পক্ষই একাট্টা। গত কয়েকদিন ধরে বিবৃতি ও ছোটখাটো সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের প্রতি ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো অব্যাহত রয়েছে। আবার ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তোষ বাড়ছে। দুদিনেই ভ্যাট ও করের চাপ পড়েছে সব পর্যায়ের মানুষের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপির যে অনুপাত হার, এটা ২০২১ সালের পর থেকে খুব নেমে যাচ্ছে। এই বছর পাঁচ মাসে আমাদের ট্যাক্স ঘাটতি রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। আমাদের টার্গেট ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেটা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। বাংলাদেশের গ্রোথের জন্য ট্যাক্সটাকে একটা জায়গায় নিতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ক্ষমতায় গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। গ্যাস সংকটে নাজেহাল জনগণকে আলোর মুখ না দেখিয়ে উল্টো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই সয়াবিন তেলের কালোবাজারি সিন্ডিকেটের কাছে নতিস্বীকার করে প্রতি লিটারে ৮ টাকা মূল্যবৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটে সহযোগিতা করেছেন।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net