সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন সাংবাদিকের ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। সেইসঙ্গে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ?্যও চাওয়া হয়েছে। এর আগে জানুয়ারি প্রথম দিকে ২১ জনের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলো বিএফআইইউ। গতকাল বুধবার সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই সকল সাংবাদিকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
যাদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে তারা হলেন-এপি’র ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সাগর, ঢাকা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, সাবেক প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ, ডেইলি পিপলস লাইফের সম্পাদক (সাবেক) মো. আজিজুল হক ভুইয়া, বাসসের স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার তাহমিনা সাদেক জেসি, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার নিলাদ্রী শেখর কুন্ডু, সাংবাদিক নজরুল কবীর, গাজী টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ইকবাল করীম নিশান, সাংবাদিক সাজু রহমান এবং সাংবাদিক আমিনুর রশীদ।
বিএফআইইউ’র চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ১৪ সাংবাদিকের স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যাসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যাদি যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেনের বিবরণীসহ আনুষঙ্গিক তথ্য পাঠাতে হবে। এর আগে ৫ জানুয়ারি ২১ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছিল বিএফআইইউ। ওই ২১ সাংবাদিক হলেন দৈনিক যুগান্তরের (সাবেক) সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিবিসি নিউজের (সাবেক) হেড অব নিউজ প্রণব সাহা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম শামসুর রহমান, হেড অব নিউজ মামুন আবদুল্লাহ ও বিশেষ প্রতিনিধি অনিমেষ কর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রুহুল আমিন রাসেল ও উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান। আরও আছেন দৈনিক খোলা কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাফর আহমেদ (বর্তমানে বাংলানিউজে কর্মরত), দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ও আমাদের অর্থনীতির প্রধান প্রতিবেদক দীপক চৌধুরী, একুশে টেলিভিশনের হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির সাংবাদিক রাশেদ কাঞ্চন, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী, এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল এবং সমকালের সাংবাদিক রমা প্রসাদ প্রমুখ। তার আগের সপ্তাহে আরও ১২ জনের তথ্য চায়। তারা হলেন-দৈনিক কালবেলার সাবেক সম্পাদক ও দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, বাংলাদেশ পোস্টের বিশেষ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম হাসিব, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দ্বীপ আজাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত, দৈনিক জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর ওবাইদুল কবীর মোল্লা এবং গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। বিএফআইইউ সাধারণত বিভিন্ন সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হিসাব তলব করে। এ ছাড়া মাঝে-মধ্যে নিজেদের তদন্তের প্রয়োজনে হিসাব তলব করে থাকে।