
মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দেন। এ মামলায় অভি পলাতক। তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ্ ইলিয়াস রতন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজভী। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। তখনকার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী তিন্নি হত্যার প্রায় দুই যুগ পর গতকাল মঙ্গলবার রায় হলো। তিন্নির মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক এবং তা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন এএসআই মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন এসআই মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে তার এক আত্মীয় মরদেহ শনাক্ত করেন। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।