
রাজধানীর মুগদা এলাকায় একের পর এক তৈরি হচ্ছে অবৈধ বহুতল ভবন। ভবন নির্মাণ নীতি না মেনে মুগদায় অর্ধকোটি টাকা রাজউক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের দৌলত ছায়ানীড় নামে ১০তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ এ অবৈধ ভবন নির্মাণে একাধিকবার বাধা দিলেও মূলত কোন কাজ হয়নি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ অবৈধ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০২২ সালে। ৭২ নং দক্ষিণ মুগদা দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের ভবনটির সামনে পেছনে কোন রাস্তা না থাকলে অতি সহজেই রাজউক থেকে অনুমতি মিলে। ভবনে প্রায় অর্ধশত পরিবার বসবাস করবে। অথচ ভবনের কোন ফ্লোরে আগুন লাগলে বা ভূমিকম্পের মতো কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা কোনভাবেই ভবনের কাছে গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজউকের অসাধু কর্মকর্তা ৬/১-এ অথরাইজড অফিসার হাছানুজ্জামানের সহযোগিতায় অতিসহেজই অনুমোদ পেয়ে যায়। দুর্নীতিবাজ রাজউক কর্মকর্তা হাছানুজ্জামানের সহযোগিতার অত্র এলাকায় আরো বহু অবৈধ ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের এক কর্মকর্তা জানান, বিল্ডিং কোর্ড মেনেই দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের দৌলত ছাড়ানীড় ভবন তৈরি করা হয়। রাস্তা ছাড়া কিভাবে এ অবৈধ ভবন তৈরি করা হলো এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, অথারাইজড অফিসারকে ম্যানেজ করেই আমরা ২০২৩ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন কার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাই মিরাজকে ম্যানেজ করে এবং তার সহযোগিতায় আমরা সে সময়ে কাজ শুরু করি।
জামাই সিরাজ নিজেও ছিলেন একজন ডেভেলপার। তিনি এলাকায় অবৈধভাবে ৫/৭টি বহুতল ভবন তৈরি করেছেন। বর্তমান জামাই সিরাজ একটি হত্যা মামলার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন।
মুগদা এলাকার স্থায়ী বসবাসকারী নাম বলতে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের এ বহুতল ভবনটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজউক কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ও এলাকার সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাই সিরাজকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে এই ১০তলা ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ ভবনের কোন ফ্লোরে আগুন লাগালে ফায়ার সার্ভিসের কোন গাড়ি সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। অথচ এই ভবনে বসবাস করবে অর্ধশত পরিবার। দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের দৌলত ছাড়ানীড় ভবন নির্মাণের শুরুতে এলাকাবাসী একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পান নাই। বরং দৌলত প্রোপাটিস-এর মালিক দৌলত তার সহযোগিরা প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে রাজউক কর্মকর্তা অথারাউজড অফিসার হাসানুজ্জামানের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তিনি বার বার ফোন কেটে দেন।