শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেছেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়ছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কওমি মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে। এ সময় তিনি মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ধরে রাখার তাগিদ দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি- বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে আবেদনের লটারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন জানিয়ে সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, আমি বলছি না, মাদ্রাসায় পড়াশোনা ভালো না। শিক্ষার মান খারাপ, তা নয়। কিন্তু এ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। মানে তারা সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করেছিল। তাহলে একটু বড় হয়েই তারা সাধারণ শিক্ষায় না থেকে মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে কেন? সেই কারণটা খোঁজা জরুরি। তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা সাধারণ শিক্ষা দিয়ে অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন প্রবেশ করছে, তারা যেন এখান (স্কুল-কলেজ) থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
লটারির পদ্ধতি আপাতদৃষ্টিতে ভালো উল্লেখ করে শিক্ষাসচিব আরও বলেন, পরীক্ষা বা মেধাভিত্তিক ভর্তি পদ্ধতি থাকলে অভিভাবকরা শিশু সন্তানকে নিয়ে কোচিংয়ে কোচিংয়ে ছুটতেন। আর্থিকভাবে যারা সামর্থ্যবান নয়, তারা ভালো স্কুলে পড়ার কথা চিন্তাও করতো না। আবার ভালো স্কুল, ভালো ছাত্র ছাড়া ভর্তি করতো না। ভালো শিক্ষকের কাছে শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো সমাজের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা। এটা স্পষ্টত বৈষম্য। লটারির মাধ্যমে কিছুটা হলেও তা দূর হবে। তিনি বলেন, ভালো স্কুল বলতে আমরা এখন কী বুঝি? যে স্কুুলে শতভাগ পাস, শতভাগ জিপিএ-৫ পায়। সেটাকে ভালো স্কুল বলে থাকি। তাহলে সব স্কুল যদি এমন ভালো হতো, তাহলে আমাদের লটারি করার প্রয়োজন হতো না। সব অভিভাবক কয়েকটা স্কুলে ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়েও পড়তো না। তবে এটাও সত্য যে লটারি পদ্ধতিতেও আমরা সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছি না। একটা ব্যাপার ভালো যে, আমরা লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে বড় অনিয়ম দেখিনি। লটারি পদ্ধতি শুরুর পর ভর্তিতে বড় ধরনের কোনো অনিয়মের কথা শুনিনি। ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি, আমাদের হাতে থাকা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো। এর আগে তিনি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডিজিটাল আবেদনের লটারির উদ্বোধন করেন।
মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন জানিয়ে সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, আমি বলছি না, মাদ্রাসায় পড়াশোনা ভালো না। শিক্ষার মান খারাপ, তা নয়। কিন্তু এ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। মানে তারা সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করেছিল। তাহলে একটু বড় হয়েই তারা সাধারণ শিক্ষায় না থেকে মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে কেন? সেই কারণটা খোঁজা জরুরি। তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা সাধারণ শিক্ষা দিয়ে অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন প্রবেশ করছে, তারা যেন এখান (স্কুল-কলেজ) থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
লটারির পদ্ধতি আপাতদৃষ্টিতে ভালো উল্লেখ করে শিক্ষাসচিব আরও বলেন, পরীক্ষা বা মেধাভিত্তিক ভর্তি পদ্ধতি থাকলে অভিভাবকরা শিশু সন্তানকে নিয়ে কোচিংয়ে কোচিংয়ে ছুটতেন। আর্থিকভাবে যারা সামর্থ্যবান নয়, তারা ভালো স্কুলে পড়ার কথা চিন্তাও করতো না। আবার ভালো স্কুল, ভালো ছাত্র ছাড়া ভর্তি করতো না। ভালো শিক্ষকের কাছে শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো সমাজের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা। এটা স্পষ্টত বৈষম্য। লটারির মাধ্যমে কিছুটা হলেও তা দূর হবে। তিনি বলেন, ভালো স্কুল বলতে আমরা এখন কী বুঝি? যে স্কুুলে শতভাগ পাস, শতভাগ জিপিএ-৫ পায়। সেটাকে ভালো স্কুল বলে থাকি। তাহলে সব স্কুল যদি এমন ভালো হতো, তাহলে আমাদের লটারি করার প্রয়োজন হতো না। সব অভিভাবক কয়েকটা স্কুলে ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়েও পড়তো না। তবে এটাও সত্য যে লটারি পদ্ধতিতেও আমরা সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছি না। একটা ব্যাপার ভালো যে, আমরা লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে বড় অনিয়ম দেখিনি। লটারি পদ্ধতি শুরুর পর ভর্তিতে বড় ধরনের কোনো অনিয়মের কথা শুনিনি। ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি, আমাদের হাতে থাকা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো। এর আগে তিনি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডিজিটাল আবেদনের লটারির উদ্বোধন করেন।
মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ।