বিনোদন ডেস্ক
সাই-ফাই সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইন্টারস্টেলার’। ২০১৪ সালে মুক্তির পর সিনেমাটি অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বক্স অফিসের পাশাপাশি দর্শক-সমালোচক হৃদয় জয় করে নিয়েছে সমানতালে। ঘরে তুলেছে অস্কারের মতো পুরস্কার। সম্প্রতি সিনেমাটির এক দশক পূর্তি উপলক্ষে ফের মুক্তি দেয়া হয়েছে এটি। আর এক দশক পরও দর্শকদের আগ্রহ রীতিমতো অবাক করার মতো। টিকিট পাওয়াই হয়ে উঠেছিল দুঃসাধ্য! দর্শকদের এমন ভালোবাসা আপ্লুত করেছে পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানকে। ম্যাথিউ ম্যাকনাহে ও অ্যান হ্যাথাওয়ে অভিনীত সায়েন্স ফিকশনধর্মী সিনেমাটি নতুন করে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মাত্র ১৬৬টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রথম সপ্তাহান্তে ৪৫ লাখ ডলার আয় করেছে। যার ফলে নোলানের চলচ্চিত্রটির মার্কিন বক্স অফিসে আয় এখন ১৯৩.৭ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৪ সালে মুক্তির পর মার্কিন বক্স অফিসে ১৮৯ মিলিয়নের বেশি আয় করেছিল সিনেমাটি। নতুন করে ইন্টারস্টেলারের মুক্তিতে থিয়েটারগুলো নতুন শো যোগ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে দর্শকের চাহিদায়। লোকেরা রি-সেল বাজার থেকে সিনেমাটির জন্য টিকিটপ্রতি ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিচ্ছেন। মাত্র ১০টি প্রেক্ষাগৃহের হিসাবেই প্রতি থিয়েটারে গড় আয় ৭০ হাজার ডলার। চলতি বছর এটা অন্যতম সেরা অর্জন। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা নোলান বলেন, ‘আমি প্রতিক্রিয়া দেখে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। যখনই লোকেরা কাজে সাড়া দেয়, তা খুবই রোমাঞ্চকর। এটা খুবই আনন্দের যে এটি এখনো জীবন্ত হিসেবে রয়ে গেছে। ইন্টারস্টেলার তৈরি একটি ভালোবাসার কাজ ছিল।’ ইন্টারস্টেলার সিনেমায় নোলান স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কাজ করেছেন। ম্যাথিউ ম্যাকনাহে তার কুপার চরিত্রটি দক্ষতার সঙ্গে সামনে এনেছিলেন। কিন্তু নোলানের সামনে ছিল অন্য প্রতিবন্ধকতা। ডিজিটাল যুগের বাতাসের মধ্যে বসেও তিনি বেছে নেন সেলুলয়েড। নোলান বলেন, ‘সেলুলয়েড ফিল্ম হুমকির মুখে ছিল। ডিজিটাল সবকিছু দখল করছিল। আমরা তখন আইম্যাক্স ৭০মিমি ফিল্ম ফরম্যাটে প্রচুর কাজ করেছি। বুঝতে পারছিলাম না এভাবে কাজ করতে পারব কিনা। যদিও তখন ইন্টারস্টেলার সাদরে গৃহীত হয়েছিল। বক্স অফিসেও দেখিয়েছে সফলতা। পাশাপাশি ছিল সমালোচনাও।’ ইন্টারস্টেলার ২০১৪ সালে পাঁচটি অস্কার মনোনয়ন এবং একটি জয় ছিল কেবল কারিগরি বিভাগে। তবে গত এক দশকে সিনেমাটি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছে। পরিণত হয়েছে সত্যিকারের ক্ল্যাসিকে। নোলান নিজেও খেয়াল করেছেন সিনেমাটি নিয়ে মানুষ আলোচনা করেছে। মানুষ প্রায়ই ব্যাখ্যা কিংবা ফের মুক্তি পাবে কিনা, তা জানতে চেয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে চীন ও লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘ইন্টারস্টেলার’ পুনরায় মুক্তি পেয়েছে। নোলান জানান, প্রিন্টগুলো পুরনো হয়নি। আইম্যাক্সকে খুব একটা রাজি করানোর প্রয়োজন ছিল না। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যানেলগুলোয় বছরের পর বছর সবচেয়ে বেশি অনুরোধ ছিল ইন্টারস্টেলার পুনঃপ্রকাশে।
সাই-ফাই সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইন্টারস্টেলার’। ২০১৪ সালে মুক্তির পর সিনেমাটি অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বক্স অফিসের পাশাপাশি দর্শক-সমালোচক হৃদয় জয় করে নিয়েছে সমানতালে। ঘরে তুলেছে অস্কারের মতো পুরস্কার। সম্প্রতি সিনেমাটির এক দশক পূর্তি উপলক্ষে ফের মুক্তি দেয়া হয়েছে এটি। আর এক দশক পরও দর্শকদের আগ্রহ রীতিমতো অবাক করার মতো। টিকিট পাওয়াই হয়ে উঠেছিল দুঃসাধ্য! দর্শকদের এমন ভালোবাসা আপ্লুত করেছে পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানকে। ম্যাথিউ ম্যাকনাহে ও অ্যান হ্যাথাওয়ে অভিনীত সায়েন্স ফিকশনধর্মী সিনেমাটি নতুন করে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মাত্র ১৬৬টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রথম সপ্তাহান্তে ৪৫ লাখ ডলার আয় করেছে। যার ফলে নোলানের চলচ্চিত্রটির মার্কিন বক্স অফিসে আয় এখন ১৯৩.৭ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৪ সালে মুক্তির পর মার্কিন বক্স অফিসে ১৮৯ মিলিয়নের বেশি আয় করেছিল সিনেমাটি। নতুন করে ইন্টারস্টেলারের মুক্তিতে থিয়েটারগুলো নতুন শো যোগ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে দর্শকের চাহিদায়। লোকেরা রি-সেল বাজার থেকে সিনেমাটির জন্য টিকিটপ্রতি ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিচ্ছেন। মাত্র ১০টি প্রেক্ষাগৃহের হিসাবেই প্রতি থিয়েটারে গড় আয় ৭০ হাজার ডলার। চলতি বছর এটা অন্যতম সেরা অর্জন। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা নোলান বলেন, ‘আমি প্রতিক্রিয়া দেখে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। যখনই লোকেরা কাজে সাড়া দেয়, তা খুবই রোমাঞ্চকর। এটা খুবই আনন্দের যে এটি এখনো জীবন্ত হিসেবে রয়ে গেছে। ইন্টারস্টেলার তৈরি একটি ভালোবাসার কাজ ছিল।’ ইন্টারস্টেলার সিনেমায় নোলান স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কাজ করেছেন। ম্যাথিউ ম্যাকনাহে তার কুপার চরিত্রটি দক্ষতার সঙ্গে সামনে এনেছিলেন। কিন্তু নোলানের সামনে ছিল অন্য প্রতিবন্ধকতা। ডিজিটাল যুগের বাতাসের মধ্যে বসেও তিনি বেছে নেন সেলুলয়েড। নোলান বলেন, ‘সেলুলয়েড ফিল্ম হুমকির মুখে ছিল। ডিজিটাল সবকিছু দখল করছিল। আমরা তখন আইম্যাক্স ৭০মিমি ফিল্ম ফরম্যাটে প্রচুর কাজ করেছি। বুঝতে পারছিলাম না এভাবে কাজ করতে পারব কিনা। যদিও তখন ইন্টারস্টেলার সাদরে গৃহীত হয়েছিল। বক্স অফিসেও দেখিয়েছে সফলতা। পাশাপাশি ছিল সমালোচনাও।’ ইন্টারস্টেলার ২০১৪ সালে পাঁচটি অস্কার মনোনয়ন এবং একটি জয় ছিল কেবল কারিগরি বিভাগে। তবে গত এক দশকে সিনেমাটি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছে। পরিণত হয়েছে সত্যিকারের ক্ল্যাসিকে। নোলান নিজেও খেয়াল করেছেন সিনেমাটি নিয়ে মানুষ আলোচনা করেছে। মানুষ প্রায়ই ব্যাখ্যা কিংবা ফের মুক্তি পাবে কিনা, তা জানতে চেয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে চীন ও লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘ইন্টারস্টেলার’ পুনরায় মুক্তি পেয়েছে। নোলান জানান, প্রিন্টগুলো পুরনো হয়নি। আইম্যাক্সকে খুব একটা রাজি করানোর প্রয়োজন ছিল না। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যানেলগুলোয় বছরের পর বছর সবচেয়ে বেশি অনুরোধ ছিল ইন্টারস্টেলার পুনঃপ্রকাশে।