
রাজধানীর ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য রাজউক-এর কতিপয় অসৎ কর্মকর্তারা নিয়মনীতি মানছেন না। যার কারণে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে নিয়মনীতি না মেনে প্রতিদিন গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। যার কারণে ইচ্ছাধীন ভবন নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর মতো ঘটনা। রাজউক-এর অসৎ ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় ভবন মালিকরা ইচ্ছাধীন ভবন নির্মাণ করার পর তা দুর্ঘটনার স্বীকার ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অহরহ ঘটছে।
সূত্র জানায়, রাজধানীর মুগদা এলাকায় দৌলত প্রোপাটিস লিমিটেডের দৌলত ছায়ানীড় নামে একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। ৭২ নম্বর দক্ষিণ মুগাদাপাড়াস্থ এই ভবনটি শুরু হয় ২০২৩ সালে। দক্ষিণ মুগদাপাড়াস্থ ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। কিন্তু দক্ষিণ মুগদাপাড়াস্থ গার্মেন্টস গলির রাস্তাটি এতই ছোট যে পাশাপাশি দুটি রিকশা ক্রস করতে সমস্যা হয়। এই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি বা ট্রাক এমন কি এ্যাম্বুলেস পর্যন্ত চলতে পারে না। অথচ এই গার্মেন্টস গলির শেষ মাথায় নির্মাণ হচ্ছে ১টি ১০তলা বহুতলা ভবন।
ভবনের কোন ফ্লোরে বা আশপাশে আগুন লাগলে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কোন পানিবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। অথচ এই ভবনের ভেতরে বসবাস করবে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার। এ অবৈধ ভবন নির্মাণে এলাকাবাসী রাজউককে একাধিকবার বাধা দিয়েছে অথচ রাজউক কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে এলাকার বসবাসরত সিএনএন বাংলাটিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর গত ৮ ডিসেম্বর ২৪ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, মুগদা এলাকার সংশ্লিষ্ট রাজউকের জোন ৬/১এ অর্থরাইজড অফিসার হাসানুজ্জামান ও পরিদর্শককে ম্যানেজ করে দৌলত প্রোপারটিস লিঃ দৌলত ছায়ানীড় এই অবৈধ ভবনটি নির্মাণ করছে। তিনি আরো জানান, দৌলত প্রোপারটিক-এর মালিক একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। যার কারণে সে সময়ে তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার করে অবৈধ ভবন নির্মাণের বৈধ অনুমোদন পান।
অপর একটি সূত্র জানায়, অর্ধকোটি টাকা ঘুষের মাধ্যমে দৌলত প্রোপারটিস-এর ভবনটি অনুমোদন পায়। ফ্যাসিস্টি সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডটি বন্ধ না হয় এলাকাবাসি রাজউকের যেসব কর্মকর্তা যারা ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চমহলে অভিযোগ দায়ের করাসহ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে রাজউকের অথারাইজড অফিসার হাসানুজ্জানের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিজিভ করেন নাই।