
স্পোর্টস ডেস্ক
এম এস বাবলু আগের দুইবারের চেষ্টায় গোল করতে পারেননি। শেষ দিকে এসে তৃতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই লক্ষ্যভেদ করলেন। তাতে অবশ্য দায়টা গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলের বেশি। ৮৭ মিনিটে গোলকিপারের ভুলে বাবলুর গোলে পুলিশ এফসি আবাহনী লিমিটেডকে জিততে দেয়নি। প্রিমিয়ার লিগে ফিরতি পর্বে আবাহনী ১-১ গোলে ড্র করেছে সার্ভিসেস দলটির সঙ্গে। গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে আবাহনী আক্রমণে ছিল। ৯ মিনিটে আবাহনী এগিয়ে যায়। সতীর্থের ক্রসে আব্দুল্লায়েভ হেড করে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, বল চলে যায় পেছনে অবস্থান করা কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পায়ে। গ্রানাডিয়ান স্ট্রাইকার দেখেশুনে গোলকিপারের পাশ দিয়ে প্লেসিং করে দেন। ব্যবধান বাড়ানোর কম চেষ্টা করেনি আবাহনী। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ৩২ মিনিটে এনামুল গাজীর কাটব্যাক থেকে পোস্টের সামনে থেকে কর্নেলিয়াসের প্লেসিং অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ওয়াশিংটন বান্দ্রোর ক্রসে এনামুল গাজী পোস্টের একদম সামনে থেকে পা ছোঁয়াতে পারেননি। বিরতির পর আবাহনীর সঙ্গে সমান তালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। ৫৬ মিনিটে তারা ভালো সুযোগ নষ্ট করে। বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে ফাঁকায় বদলি বাবলুর কিছুটা কোনাকুনি শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পর পালাসিওর ক্রসে বাবলুর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়। ৬৬ মিনিটে শাহ কাজেমের থ্রু পাস থেকে বক্সের বাইরে মাহাদি ইউসুফ খান অ্যারন ইভান্সের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে ঠিকঠাক লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। অল্পের জন্য তা পোস্ট ঘেঁষে যায়। আবাহনী ৮৫ মিনিটে সুযোগ পায়। রবিউল ইসলামের ফ্রি কিক আহসান হাবীব পোস্টে ঢোকার মুহূর্তে প্রতিহত করেন। ৮৭ মিনিটে অভিজ্ঞ গোলকিপার সোহেলের ভুলে আবাহনী তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট এক ড্রপ খায়, গোলকিপার সোহেল নিচু হয়ে ধরার চেষ্টা করলেও তা দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। বলের গতি এমন জোরালো ছিল না যে কিপারের জন্য তালুবন্দি করা কঠিন ছিল। এমন ভুল সোহেল আগেও করেছেন। তা ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে থেকেও! শেষ পর্যন্ত রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই পুলিশের স্বস্তি। এমন ড্রতে আবাহনীর তো এখন রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দিনের অন্য ম্যাচে মুন্সীগঞ্জে শেখ রাসেল ও রহমতগঞ্জ পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে। দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। লিগে আবাহনী ১৫ ম্যাচে ৭ জয় ও ৮ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। পুলিশ সমান ম্যাচে চতুর্থ ড্রয়ে ২২ পয়েন্টে চারে অবস্থান করছে। শেখ রাসেল ১৫ ও রহমতগঞ্জ ১১ পয়েন্ট পেয়েছে।