বিদায় জানালেন কলিন মানরো

আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৪ ১০:০৩:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১০-০৫-২০২৪ ১০:০৩:১৫ অপরাহ্ন

স্পোর্টস  ডেস্ক
পথচলা এমনিতেই থমকে ছিল চার বছর ধরে। সম্প্রতি নতুন গতির ইঙ্গিত মিললেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এবার তা পুরোপুরিই থামিয়ে দিলেন কলিন মানরো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি তিনি খেলেছেন ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছিল তার আঙিনা। ওয়ানডে খেলেছেন ৫৭, শেষটি ২০১৯ বিশ্বকাপে। যে সংস্করণে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছেন, সেই টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দেশের হয়ে ৬৫টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনিই। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড একসময় ছিল তার। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১৪ বলের ফিফটি এখনও কিউইদের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড হয়ে টিকে আছে। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে মানরোকে সবশেষ দেখা গেছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিত ভারতের বিপক্ষে। সেই সিরিজেও দুটি ফিফটি করেছিলেন তিনি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততার কারণেই মূলত জাতীয় দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। সেই দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে বাড়তে ব্যবধান হয়ে যায় চার বছরের। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য খেলার প্রবল ইচ্ছে ছিল তার। প্রকাশ্যে সেটা জানিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। দল নির্বাচনে বিবেচনাও করা হয়েছিল তাকে। নিউ জিল্যান্ডের কোচ হ্যারি স্টেড জানান, বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে জোর আলোচনাও হয়েছে সভায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে তার জায়গা হয়নি। এরপরই মানরো বুঝে যান, জাতীয় দলের আর সুযোগ মিলবে না। একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংসে তিনি করতে পেরেছিলেন ১৫ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান অবশ্য দারুণ। ৪৮ ম্যাচ খেলে ১৩টি সেঞ্চুরি করেছেন, সাড়ে তিন হাজারের বেশি রান করেছেন ৫১.৫৮ গড়ে। তবে গত সাড়ে ছয় বছরে লাল বলের ক্রিকেটে খেলেননি। নিজেকে শুধুই সাদা বলের ক্রিকেটার করে তোলেন এই সময়টায়। ওয়ানডেতে ৮ ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ২৭১ রান। গড় মাত্র ২৪.৯২, তবে তার ব্যাটিংয়ের ধরন ফুটে ওঠে স্ট্রাইক রেটে, ১০৪.৬৯। টি-টোয়েন্টিতে তার পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ। ৩ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে ১ হাজার ৭২৪ রান করেছেন ৩১.৩৪ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৪৪। একসময় জেন্টল মিডিয়াম পেস বোলিংও মোটামুটি নিয়মিত করতেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট আছে ১৩টি। মানরোর বিদায়ী বার্তায় মিশে থাকল দেশের হয়ে খেলতে পারার গৌরবের কথা। “ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে খেলতে পারা সবসময়ই আমার খেলোয়াড়ি জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হয়ে থাকবে। এই জার্সি গায়ে তোলার চেয়ে বেশি গর্ব আর কিছুতে হয়নি আমার, ১২৩ ম্যাচে এটা করতে পেরেছি, যা নিয়ে আমি অবিশ্বাস্যরকমের গর্বিত।” “যদিও আমার সবশেষ ম্যাচের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে, কখনোই আশা ছাড়িনি যে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফর্ম দিয়ে হয়তো জাতীয় দলে ফিরতে পারব। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপদের দল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এই অধ্যায়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া উপযুক্ত সময় এখনই।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছাড়লেও সময়ের আরও অনেক ক্রিকেটারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলে যাবেন তিনি।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net