
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে দাঁড়িয়ে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভালো নেই সাবেক জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। হামলা মামলার ভয়ে দলটি সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে দলীয় নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যেই অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও পুলিশ প্রশাসনকে এড়িয়ে চলার জন্য নিজ বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। কেউ আবার নিজের গাড়িতে যাতায়াত না করে অন্য গাড়ি ব্যবহার করছেন। তবে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তাদের নিজ নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং নিয়মিত বনানীস্থ কার্যালয়ে আসা যাওয়া করছেন। দলটির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে এবং খুলনা মহানগর জাপা কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর থেকে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দলটির অতিরিক্ত মহাসচিবদের দলীয় কার্যক্রমের জন্য ৮টি বিভাগে এবং জেলা শহরে সফর করার কথা ছিল। সেখানে দলীয় বর্ধিতসভা কর্মী বৈঠক করবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থীও খুঁজে নেবে। কিন্তু জেলা সফরে বের হলেই মামলা হামলায় জড়িয়ে পড়ছে দলটির নেতাকর্মীরা। সেজন্য আপাতত দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা। তবে এ দুই কর্মসূচি পালনেও হামলা হতে পারে-এমন আশঙ্কা করছেন তারা। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দলের শীর্ষ ও অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ বৈঠকে আপাতত দৃশ্যমান সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ১৯৯০ সালের পর জাতীয় পার্টি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মিছিল বের করলে হামলামামলার শিকার হতো। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে জাপার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাতো। হামলা মামলা থেকে ওই সময় কেউই বাদ যেত না। কথিত রয়েছে যে, ওই সময়ে রাজধানীর সায়েদাবাদে জাপার একটি সমাবেশে দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী হামলার ভয়ে ম্যানহোলে গলা পর্যন্ত ডুবে ছিলেন। তবে সেদিনের জাপার রাজনীতি পরিস্থিতি এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক নয়। ওই সময় জাপার দুর্দিন ছিল। ওই সময় মিজান চৌধুরী যে দূরদর্শিতা নিয়ে সামনে এগিয়েছিলেন, সেভাবে সব কিছু উপেক্ষা করে দলের বর্তমান নেতাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে-জাপার নেতাকর্মীরা এখন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন । তা না হলে জাপার পরিস্থিতি জিরোতে চলে যাবে। নেতাকর্মীদের মতে, দলের নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ দলছুট অন্যান্য নেতাদের এই মুর্হুতে কাছে টানা দরকার। খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবেই সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোনো নির্দেশনা পাচ্ছি না। এছাড়া বর্তমানে দেশের উদ্ভট পরিস্থিতিতে মামলা হামলার ভয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন না। খুলনা জাপা অফিসে হামলা হয়েছে। পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। এসব কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা তৎপর নয়। তবে খুলনা জাতীয় পার্টি কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মাঠে নামতে পারবে। এসব বিষয় নিয়ে কথা হলে দলটির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অফিসিয়ালি সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করবো, আর কী করবো না-সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। তবে শিগগিরই দৃশ্যমান কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় পার্টি মাঠে নামবে বলে জানান তিনি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জাতীয় পার্টি সংসদে কথা বলতে পারেনি। ভয়-ভীতি দেখিয়ে সব কিছুই তারা নিয়ন্ত্রণ করতো। তারপরও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে দাঁড়িয়ে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন। এছাড়া সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তারা। তারপরও আমাদের দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহামুদসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা এবং জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতারা মাঠে নামলে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশে এ ধরনের হামলা-মামলা দুঃখজনক। ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনও হচ্ছে। রাজনীতি করলে মামলা হামলা হবে- এটা স্বাভাবিক। তারপরও জনগণের পক্ষে কথা বলতে হলে সব কিছু উপেক্ষা করে মাঠে নামতে হবে। যেমনটি ১৯৯০ সালের পর প্রয়াত মিজানুর রহমান চৌধুরী মামলা-হামলা উপেক্ষা করে অনড় ও কঠোর অবস্থানে থেকে সঠিক সিন্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাপাকে ৩৫টি আসনে জয়লাভ করিয়েছেন এবং জনগণের পক্ষে কথা বলেছেন-এ বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান নেতৃত্বকে সামনে এগোতে হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভালো নেই সাবেক জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। হামলা মামলার ভয়ে দলটি সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে দলীয় নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যেই অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও পুলিশ প্রশাসনকে এড়িয়ে চলার জন্য নিজ বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। কেউ আবার নিজের গাড়িতে যাতায়াত না করে অন্য গাড়ি ব্যবহার করছেন। তবে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তাদের নিজ নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং নিয়মিত বনানীস্থ কার্যালয়ে আসা যাওয়া করছেন। দলটির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে এবং খুলনা মহানগর জাপা কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর থেকে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দলটির অতিরিক্ত মহাসচিবদের দলীয় কার্যক্রমের জন্য ৮টি বিভাগে এবং জেলা শহরে সফর করার কথা ছিল। সেখানে দলীয় বর্ধিতসভা কর্মী বৈঠক করবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থীও খুঁজে নেবে। কিন্তু জেলা সফরে বের হলেই মামলা হামলায় জড়িয়ে পড়ছে দলটির নেতাকর্মীরা। সেজন্য আপাতত দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা। তবে এ দুই কর্মসূচি পালনেও হামলা হতে পারে-এমন আশঙ্কা করছেন তারা। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দলের শীর্ষ ও অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ বৈঠকে আপাতত দৃশ্যমান সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ১৯৯০ সালের পর জাতীয় পার্টি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মিছিল বের করলে হামলামামলার শিকার হতো। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে জাপার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাতো। হামলা মামলা থেকে ওই সময় কেউই বাদ যেত না। কথিত রয়েছে যে, ওই সময়ে রাজধানীর সায়েদাবাদে জাপার একটি সমাবেশে দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী হামলার ভয়ে ম্যানহোলে গলা পর্যন্ত ডুবে ছিলেন। তবে সেদিনের জাপার রাজনীতি পরিস্থিতি এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক নয়। ওই সময় জাপার দুর্দিন ছিল। ওই সময় মিজান চৌধুরী যে দূরদর্শিতা নিয়ে সামনে এগিয়েছিলেন, সেভাবে সব কিছু উপেক্ষা করে দলের বর্তমান নেতাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে-জাপার নেতাকর্মীরা এখন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন । তা না হলে জাপার পরিস্থিতি জিরোতে চলে যাবে। নেতাকর্মীদের মতে, দলের নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ দলছুট অন্যান্য নেতাদের এই মুর্হুতে কাছে টানা দরকার। খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবেই সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোনো নির্দেশনা পাচ্ছি না। এছাড়া বর্তমানে দেশের উদ্ভট পরিস্থিতিতে মামলা হামলার ভয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন না। খুলনা জাপা অফিসে হামলা হয়েছে। পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। এসব কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা তৎপর নয়। তবে খুলনা জাতীয় পার্টি কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মাঠে নামতে পারবে। এসব বিষয় নিয়ে কথা হলে দলটির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অফিসিয়ালি সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করবো, আর কী করবো না-সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। তবে শিগগিরই দৃশ্যমান কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় পার্টি মাঠে নামবে বলে জানান তিনি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জাতীয় পার্টি সংসদে কথা বলতে পারেনি। ভয়-ভীতি দেখিয়ে সব কিছুই তারা নিয়ন্ত্রণ করতো। তারপরও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে দাঁড়িয়ে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন। এছাড়া সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তারা। তারপরও আমাদের দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহামুদসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা এবং জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতারা মাঠে নামলে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশে এ ধরনের হামলা-মামলা দুঃখজনক। ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনও হচ্ছে। রাজনীতি করলে মামলা হামলা হবে- এটা স্বাভাবিক। তারপরও জনগণের পক্ষে কথা বলতে হলে সব কিছু উপেক্ষা করে মাঠে নামতে হবে। যেমনটি ১৯৯০ সালের পর প্রয়াত মিজানুর রহমান চৌধুরী মামলা-হামলা উপেক্ষা করে অনড় ও কঠোর অবস্থানে থেকে সঠিক সিন্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাপাকে ৩৫টি আসনে জয়লাভ করিয়েছেন এবং জনগণের পক্ষে কথা বলেছেন-এ বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান নেতৃত্বকে সামনে এগোতে হবে।