
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের মতো সন্ত্রাস, মাদক, ভূমি দস্যুতা ও খুন-খারাবি দেশের আর কোথাও নেই। আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা এখনো সরব সকল নাশকতার কর্মকাণ্ডে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পরিচয়ে দীপু ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এখন চলছে সেই সব অপকর্ম। রূপগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজ সেবক জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বারিধারার নিজ অফিসে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশটা কারো বাপের না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন করে আমার এ দেশ জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। এখন দেশটাকে নতুনরূপে সাজাতে হবে। সে জন্য চার দিকে হাত লাগালে চলবে না। যে কোন একটি উপজেলা কিংবা থানা এলাকাকে মডেল হিসেবে নিতে হবে এবং সেখানে খুন-ধর্ষণ, দখল বানিজ্য ও মাদক-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণসহ সকল অপরাধ দমনে কাজ করতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে সর্বসাধারণের অধিকার। তবেই দেশ মাতৃকার উন্নয়ন সাধিত হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে সেলিম প্রধান বলেন-আমাকে সহযোগিতা করলে কিংবা আমি প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে রূপগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করবো। কোন অপশক্তির হুমকীর ভয়ে আমি রূপগঞ্জের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হবো না। তিনি বলেন, দেশ জনতার জন্য কাজ করতে হলে, জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন হয় শুধু নিজ ইচ্ছা শক্তির। আর আমার তা আছে। আমি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে হলেও রূপগঞ্জের উন্নয়ন করবো। রূপগঞ্জের মানুষের পাশে থাকবো। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেলিম প্রধান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সন্ত্রাস মাদকসহ সকল অপরাধীদের রুখতে দলের সকল নেতা-কর্মীদের শৃংখলায় ফিরিয়ে আনুন এবং বাংলাদেশকে জনতার বাংলাদেশে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। সর্বোপরি তিনি দেশের সকল রাজনীতিক ব্যক্তিত্বসহ সেনা বাহিনী, পুলিশ, আনসার ও ছাত্র-জনতার প্রতি দেশ গড়ার সংগ্রামে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।