পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোঃ আবুল কালাম (৫৫) পটিয়া উপজেলার খরনা ইউপির, উত্তর খরনা (ফকিরপাড়া) কালা মিয়ার পুত্র। আবদুল জব্বার এর স্ত্রী মর্জিনা বিনতে হ্যাপি (৩০)
এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত আহমদ ছফা। রবিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কমলমুন্সির হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের কমলমুন্সির হাটের পূর্ব পাশে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারগামী কিং ট্রাভেলস বাস (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৮৮৩৪) ও একটি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা মুখামুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিক্সার একজন নিহত ও অপর দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ গাড়ি দুইটি তাদের হেফাজতে নেন।
এছাড়া কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় লরির ধাক্কায় কর্ণফুলীর মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ১০টার দিকে চকরিয়া হারবাং উত্তর হারবাং ভিলেজার পাড়া উলুমে দ্বীনিয়া মাদ্রাসার সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা (৩ নম্বর ওয়ার্ড) বানুর বাপের বাড়ির মো. হেলালের ছেলে মো. সোহেল (১৯) এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার বাড়ির মাঙ্গা মিয়ার ছেলে মো. রিফাত (১৮)। তার মধ্যে সোহেল ২০২৩ সালে কর্ণফুলী মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন বলে জানা যায়।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল আমিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নিহত সোহেল বন্ধু ইরফান, মারুফ ও কাইয়ুম তারা চারজন বাসযোগে কক্সবাজার যায়। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল যোগে নিহত রিফাত তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে পাঁচবন্ধু মিলে কক্সবাজারে ঘুরে বেড়ান। এরপর বেড়ানো শেষে শনিবার রাতে ইরফান, মারুফ ও কাইয়ুম বাসযোগে বাড়িতে আসার পথে রওনা হন। আর এদিকে রিফাত আর সোহেল মোটরসাইকেল যোগে আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এই খবর পরিবারের কাছে পৌঁছালে এলাকাজুড়ে শোকের মাতম বয়ে যায়।
নিহতদের স্বজনরা বলেন, খুব ভালো ছেলে ছিল সোহেল আর রিফাত। তাদের এমন মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও লরি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত মো. ফটিক ইসলাম বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাড়বকুণ্ড বাজারের একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে রাস্তা পার হওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই যুবক। এ সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির বাস মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকা অতিক্রমকালে ওই যুবককে চাপা দেয়। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই যুবককে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পটিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোঃ আবুল কালাম (৫৫) পটিয়া উপজেলার খরনা ইউপির, উত্তর খরনা (ফকিরপাড়া) কালা মিয়ার পুত্র। আবদুল জব্বার এর স্ত্রী মর্জিনা বিনতে হ্যাপি (৩০)
এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত আহমদ ছফা। রবিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কমলমুন্সির হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের কমলমুন্সির হাটের পূর্ব পাশে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারগামী কিং ট্রাভেলস বাস (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৮৮৩৪) ও একটি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা মুখামুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিক্সার একজন নিহত ও অপর দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ গাড়ি দুইটি তাদের হেফাজতে নেন।
এছাড়া কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় লরির ধাক্কায় কর্ণফুলীর মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ১০টার দিকে চকরিয়া হারবাং উত্তর হারবাং ভিলেজার পাড়া উলুমে দ্বীনিয়া মাদ্রাসার সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা (৩ নম্বর ওয়ার্ড) বানুর বাপের বাড়ির মো. হেলালের ছেলে মো. সোহেল (১৯) এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার বাড়ির মাঙ্গা মিয়ার ছেলে মো. রিফাত (১৮)। তার মধ্যে সোহেল ২০২৩ সালে কর্ণফুলী মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন বলে জানা যায়।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল আমিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নিহত সোহেল বন্ধু ইরফান, মারুফ ও কাইয়ুম তারা চারজন বাসযোগে কক্সবাজার যায়। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল যোগে নিহত রিফাত তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে পাঁচবন্ধু মিলে কক্সবাজারে ঘুরে বেড়ান। এরপর বেড়ানো শেষে শনিবার রাতে ইরফান, মারুফ ও কাইয়ুম বাসযোগে বাড়িতে আসার পথে রওনা হন। আর এদিকে রিফাত আর সোহেল মোটরসাইকেল যোগে আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এই খবর পরিবারের কাছে পৌঁছালে এলাকাজুড়ে শোকের মাতম বয়ে যায়।
নিহতদের স্বজনরা বলেন, খুব ভালো ছেলে ছিল সোহেল আর রিফাত। তাদের এমন মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও লরি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত মো. ফটিক ইসলাম বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাড়বকুণ্ড বাজারের একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে রাস্তা পার হওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই যুবক। এ সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির বাস মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকা অতিক্রমকালে ওই যুবককে চাপা দেয়। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই যুবককে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।