উদ্ভাবনী ডিজাইন এবং পরতে আরামদায়ক হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেনিম এবং ডেনিম-সম্পর্কিত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। পণ্যের গুণমান ও টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সোর্সিং করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক খুচরা ডেনিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডগুলো। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আগ্রহ বৃদ্ধি দেশের ডেনিম প্রস্তুতকারকদের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলেছেন যে তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী ধারণা বিশ্ব বাজারে তাদের অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। উদ্যোক্তারা আরও জানান, এক দশকে দেশের ডেনিম শিল্পে তাদের বিনিয়োগ ৮ হাজার কোটি টাকা থেকে ২৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৪ শতাংশ ডেনিম পণ্য রপ্তানি করে। তিনি জানান, আমরা ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানে আছি এবং আমাদের মার্কেট শেয়ার এখন ৮%। তবে আমরা এখন ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সদস্য শোভন ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে ৪০টি ডেনিম ফ্যাব্রিক মিল রয়েছে। ডেনিম খাতে উদ্যোক্তারা ২৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং এই খাতের প্রবৃদ্ধি বার্ষিক ৫%। বর্তমানে ৬০% কাঁচামাল স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। কোম্পানির প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্য হল বেসিক মহিলাদের ব্লাউজ বোনা শীর্ষ, আন্ডারওয়ার, প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট এবং ট্রাউজার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬,৯৯১.৬১ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার ছিল ২৫,৭৩৮.২০ মিলিয়ন এবং বোনা পোশাক ২১,২৫৩.৪১ মিলিয়ন।