আড়াই মাসেও প্রশাসনে গতি ফেরাতে পারছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যদিও প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। আর চলছে সচিব ছাড়াই পাঁচটি বিভাগ। তাছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ এবং কর্মকর্তাদের কাজের লক্ষ্য ও সময় বেঁধে দেয়া উচিত। সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিয়মমাফিক প্রতিদিনই কর্মকর্তারা সচিবালয়ে ঢুকছেন এবং রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের কাজই নেই। নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ সচিব ছাড়াই চলছে। মাঠ প্রশাসনেও একই অবস্থা। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে। সূত্র জানায়, মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাছাড়া সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতেও জোর দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেয়া হচ্ছে। প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে নতুন করে সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।