বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমিয়েছে আদানি

আপলোড সময় : ১০-১১-২০২৪ ০৪:২৪:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১০-১১-২০২৪ ০৪:২৪:৩৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। নতুন করে ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে মোট ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে। কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওনা অর্থ (৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি) আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি গ্রুপ। এর মধ্যেই জানা গেল এই খবর।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে গত শুক্রবার বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার তথ্য জানায় বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দু’টি সূত্র। এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা।
শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতেই ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি গ্রুপ। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে সরবরাহ ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেয়া হয়নি। কিন্তু আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। মিডিয়াতে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এবং আদানি গ্রুপের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net