
আদালতে অন্য আইনজীবীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্যটি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। তখন উত্তেজিত আইনজীবীরা তাকে মারধর শুরু করেন। ধাক্কা দিয়ে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তিনি দরজার সামনে পড়ে যান। তখন তাকে লাথি মারা হয়। এরপর কয়েকজন আইনজীবী তাকে তুলে আদালত থেকে বের করে দেন। রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমু শেখ হাসিনার বাবাকে বিপথে নিয়েছিলেন। সেভাবেই শেখ হাসিনাকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। উনি ১৪ দল নিয়ে মিটিং করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যেকোনো মূল্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে হবে। তারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই বাংলাদেশে কোনো শেখ হাসিনা বা ফ্যাসিস্ট আর তৈরি না হোক। আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। এদের বিচার হলে এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট দল আসবে না। এদিকে ভুক্তভোগী আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী বলেন, আদালত চলাকালে আমাকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে কোনো ন্যায়বিচার নেই। আমি বিচার চাই।