সন্দেহের তালিকায় বিপিএলও

দুর্নীতিবিরোধী কাজ নিয়ে প্রশ্ন আইসিসি

আপলোড সময় : ০২-১১-২০২৪ ১২:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-১১-২০২৪ ১২:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
টি-টোয়েন্টি হোক বা টি-টেন- বিশ্বজুড়ে একের পর এক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েই থাকে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ফিক্সিংসহ নানা রকম কেলেঙ্কারির কথা শোনা যায়। এসব ক্ষেত্রে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সন্দেহের তালিকায় আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফের’ এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য। সেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আইসিসির স্টিভ রিচার্ডসন নামে সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা ঠিকমতো মেনে চলে না। সেই প্রতিবেদনে ‘কীভাবে ক্রিকেট নিজেকেই নিজে খেয়েছে’ এই শিরোনামের অন্য একটি সংবাদ সংযুক্ত করা হয়। বিপিএলের বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য অনেক লিগের মতো দুর্নীতিবিরোধী কাজের জন্য আইসিসিকে তালিকাভুক্ত করেনি বিপিএল। এখানে বিপিএল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগে বলা হয়, ‘সবশেষ দুই বছরে বিপিএলে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৩০টির বেশি। তবে একজনকেও নিষিদ্ধ করা হয়নি। দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত বছরের পর বছর খেলেও যাচ্ছেন।’
বেশির ভাগ সময় লিগগুলোতে দুর্নীতির অভিযোগ কেন প্রকাশ্যে আসে না? এই প্রসঙ্গে টেলিগ্রাফকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘অভিযোগ করতে অনেক ক্রিকেটারই ভয় পান। প্রথমত, তাদের পারিশ্রমিক যদি না দেয়া হয়। দ্বিতীয়ত, ক্রিকেটাররা নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারেন না। যখন সরাসরি অ্যাপ্রোচ করা হয়, তখনই তারা অভিযোগ করেন। কিন্তু শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে খুব কম ক্রিকেটারই অভিযোগ তোলেন।’
২০২৩ সাল পর্যন্ত সাত বছর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন রিচার্ডসন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজেদের মতো যখন দুর্নীতিবিরোধী কাজ পরিচালনা করে, তখন ঝুঁকি থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। রিচার্ডসন বলেন, ‘যখন ছোট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো নিজস্ব ইভেন্ট পরিচালনা করে, তখন একা ঝুঁকি থাকে। কারণ, এর মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ততটা কি শক্তিশালী হয়? আইসিসি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে তারা। সে ক্ষেত্রে একজন দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা মাঠে থাকলেই তো লিগকে সবচেয়ে ভালো উপায়ে রক্ষা করা সম্ভব না। এর মধ্যে অনেক ব্যাপারই আছে।’
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সহযোগী দেশগুলো এর শিকার হয় বলে উল্লেখ করেন রিচার্ডসন। আইসিসির সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশির ভাগ সহযোগী দেশগুলো তহবিলের জন্য অনেক সংগ্রাম করে। তাই যখন অনেক সময় কেউ তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের জন্য টাকা সাধে, সেখানে লোভের ফাঁদ তৈরি করা হয়। টাকা কোত্থেকে এসেছে? তাদের ট্র্যাক রেকর্ড কেমন? অন্য লিগগুলোতে কতটা সফলভাবে চালনা করতে পেরেছে?Ñ এসব প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করা হয় না। এসবের উত্তরে সন্দেহ থাকলেই তো লাল বাতি জ্বলে ওঠার কথা।’
বিশ্বজুড়ে চলমান ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর পাশাপাশি লিজেন্ডস লিগে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে বলে ‘দ্য টেলিগ্রাফের’ প্রতিবেদনে জানা গেছে। এ বছরই পুনে ডেভিলসের স্বত্বাধিকারীরা নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যারা ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে বিভিন্ন দুর্নীতির কাজে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগও আছে সন্দেহের তালিকায়।
বর্তমানে স্পোর্টস ইন্টেগ্রিটির পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন রিচার্ডসন। দুর্নীতিরোধে বোর্ডগুলোর আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। আইসিসির সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিবাজরা বেশি তৎপর হয়ে যান। এটার মানে এটা না যে সব লিগে দুর্নীতিবাজরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো সৎ। তারা হয়তো বুঝতে পারেন না যে তারা কী করবেন।’
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net