* শেরপুর, ময়মনসিংহ এলাকায় সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নেটওয়ার্ক ক্ষতির মুখে পড়েছে
* বৃষ্টিপাতের কারণে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলোর যান চলাচল
* রাজধানীর ওয়ারী, জুরাইন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক সড়কের অবস্থা বেহাল
দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের বিশাল অংশই বন্যা-বৃষ্টিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারা দেশে সওজ অধিদপ্তরের ২২ হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাত ও একাধিক বন্যার কারণে ওই সড়ক নেটওয়ার্কের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত আগস্টের বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১৪ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সওজ’র প্রায় এক হাজার কিলোমিটার সড়ক। আর শেরপুর, ময়মনসিংহ এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতেও সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নেটওয়ার্ক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্যা ছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলো যান চলাচল। সওজ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলোর মতো রাজধানীর সড়কগুলোয়ও বৃষ্টিতে বেহাল দশা দেখা দিতে শুরু করেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ওসব সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য ২০০ কিলোমিটার। এর সঙ্গে সংযুক্ত আরো ১৬০ কিলোমিটার মহাসড়ক। এর বাইরে সরু সড়ক রয়েছে ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটারের মতো। রাজধানীর ওয়ারী, জুরাইন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক সড়কের অবস্থা বেহাল। সূত্র জানায়, দেশে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর অনেক ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেছে। ফলে সড়ক উন্নয়নের অনেক কাজই স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে দুই সিটি কর্পোরেশনকেই আগের টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার দেয়ার প্রক্রিয়া করতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা অবস্থার কারণে ওসব সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি ওসব সড়ক যানজট পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলছে। তাছাড়া দেশে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে পাকা সড়ক রয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটার। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মালিকানাধীন ওই সড়ক নেটওয়ার্কের অবস্থা আরো খারাপ। এর মধ্যে শুধু বন্যায় অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া চলমান বর্ষায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এলজিইডির অনেক সড়ক। সংস্থাটির প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়কেই ভারী মেরামত প্রয়োজন। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক প্রসঙ্গে সওজ অধিদপ্তরের প্রকেšশলীরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যেসব সড়ক বন্যার কারণে ক্ষতি হয়েছে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজগুলো এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। অন্যদিকে এ বিষয়ে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, সওজর মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে এরইমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। সড়কগুলো স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্যও মেরামত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ কিছু প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। কাজের পরিধি নিরূপণ ও মূল্যায়নের পর দরপত্র প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
* বৃষ্টিপাতের কারণে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলোর যান চলাচল
* রাজধানীর ওয়ারী, জুরাইন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক সড়কের অবস্থা বেহাল
দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের বিশাল অংশই বন্যা-বৃষ্টিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারা দেশে সওজ অধিদপ্তরের ২২ হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাত ও একাধিক বন্যার কারণে ওই সড়ক নেটওয়ার্কের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত আগস্টের বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১৪ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সওজ’র প্রায় এক হাজার কিলোমিটার সড়ক। আর শেরপুর, ময়মনসিংহ এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতেও সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নেটওয়ার্ক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্যা ছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলো যান চলাচল। সওজ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কগুলোর মতো রাজধানীর সড়কগুলোয়ও বৃষ্টিতে বেহাল দশা দেখা দিতে শুরু করেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ওসব সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য ২০০ কিলোমিটার। এর সঙ্গে সংযুক্ত আরো ১৬০ কিলোমিটার মহাসড়ক। এর বাইরে সরু সড়ক রয়েছে ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটারের মতো। রাজধানীর ওয়ারী, জুরাইন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক সড়কের অবস্থা বেহাল। সূত্র জানায়, দেশে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর অনেক ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেছে। ফলে সড়ক উন্নয়নের অনেক কাজই স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে দুই সিটি কর্পোরেশনকেই আগের টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার দেয়ার প্রক্রিয়া করতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা অবস্থার কারণে ওসব সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি ওসব সড়ক যানজট পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলছে। তাছাড়া দেশে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে পাকা সড়ক রয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটার। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মালিকানাধীন ওই সড়ক নেটওয়ার্কের অবস্থা আরো খারাপ। এর মধ্যে শুধু বন্যায় অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া চলমান বর্ষায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এলজিইডির অনেক সড়ক। সংস্থাটির প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়কেই ভারী মেরামত প্রয়োজন। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক প্রসঙ্গে সওজ অধিদপ্তরের প্রকেšশলীরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যেসব সড়ক বন্যার কারণে ক্ষতি হয়েছে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজগুলো এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। অন্যদিকে এ বিষয়ে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, সওজর মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে এরইমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। সড়কগুলো স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্যও মেরামত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ কিছু প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। কাজের পরিধি নিরূপণ ও মূল্যায়নের পর দরপত্র প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।