
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে বহু ভবন, নিয়ম মানছেন না মালিকরা
রাজউক ও সিভিল এভিয়েশনের তদারকির অভাব রয়েছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বাড়ছে ঝুঁকি। বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে আশপাশে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। এরই মধ্যে বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি আবাসিক প্রকল্পে নিয়ম না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণের কারণে বিমান অবতরণে ঝুঁকি বেড়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এ ধরণের আরও বহুতল ভবন রয়েছে যা এখনো বিমান ওঠা-নামায় ঝুঁকি রয়েছে। এ প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক প্রকল্পের ব্যাপারে গত ২২ আগষ্ট সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মোট ৬টি বহুতল ভবন-এর বিষয়ে নোটিশ করেছে। এছাড়াও রাজউক ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় মিটিং করেছেন। রাজউক কর্মকর্তারা বহুতল ভবন নির্মাণে দায়ী করছে সিভিল এভিয়েশনকে, অপরদিকে সিভিল এভিয়েশন দায়ী করছে রাজউককে। কোন নোটিশের তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন প্রিয়াংকা সিটির প্রভাবশালীরা। এর আগেও প্রিয়াংকা সিটিকে নোটিশ করা হয়েছিলো কিন্তু তৎকালীন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক সে নোটিশের আলোকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বর্তমানে নোটিশকৃত ভবনগুলো বিমানবন্দর রানওয়ের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকির পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশী রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর হওয়ায় সবসময় বিমান আসলেই অবতরণের সুযোগ থাকে না, আবার কখনো কখনো সিগনাল বা অন্য কোন কারণে অবতরণে ব্যর্থ হলে সে বিমান আবারও আকাশে উড়তে হয়। সে সময়ে এ ভবনগুলোর কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকে উড়ন্ত বিমানগুলো।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কী করে এ নকশার অনুমোদন দিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে সচেতন মহলে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক নোটিশে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবন স্থাপনার অনুমোদিত অংশ অপসারণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ প্রসঙ্গে। সেখানে বলা হয়েছে অর্ডিনারি লাষ্ট স্কয়ার্স (ও,এল,এস) সাধারণ নিম্নতম বর্গক্ষেত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫০ ফিট রয়েছে, সেখানে ১১০ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নোটিশের মাধ্যমে। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি ১নং সড়কের ২৬ ও ৯ নং প্লটে ৩৫ ও ৩৬ ফিটের উচ্চতা ছাড়পত্র নিয়ে ৮০ ফিট উচ্চতার ৭তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। একই সড়কের ১৩ ও ৩০নং প্লটে ৪৬ ফিটের ছাড়পত্র নিয়ে নির্মাণ করেছেন ৯০ ফুট উচ্চতার অষ্টম তলা ভবন। আবার ৩২নং প্লটে ৫৬ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়ে ৯০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ৩নং সড়কের ৫১নং প্লটটি ৭৩ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়ে ১১০ ফুট উচ্চতার ১০তলা ভবন নির্মাণাধীদিন রয়েছে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। আবার সিভিল এভিয়েশনের ওয়েবসাইটে উচ্চতার ছাড়পত্র যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, ৩নং সড়কের ৫১নং প্লটটির উচ্চতার ছাড়পত্র দেখানো হয়েছে ১১০ ফুট। আবার সে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষই এখন ৭৩ ফুট উচ্চতার বদলে ১১০ ফিট উচ্চতার ভবন নির্মাণ করায় নোটিশ করেছেন ভবন মালিককে। বাকি পাঁচটি ভবন মালিকের সাথে কথা বলতে না পারায় তাদের বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি। তবে সিভিল এভিয়েশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, এলাকাটি মারাত্মক রেস্ট্রিকটেড, (ও,এল,এস) সাধারণ নিম্নতম বর্গক্ষেত্র অনুযায়ী ম্যাপে এ উচ্চতা দেখানো হয়েছে ১৫০ ফুট কিন্তু এখানে ১১০ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এ ছাড়পত্র কিভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সূত্রটি। বিমানবন্দরের মতো এলাকায় আন্তর্জাতিক আইনে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের এবং আশপাশের এলাকার যে সীমারেখা রয়েছে সে সীমারেখার মধ্যে এত বড় ভুল হওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের ভাষ্য, যখন প্ল্যান পাশ করা হয়েছে তখন সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি দেখেই প্ল্যান করা হয়েছে, এখানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ দায় এড়াতে পারেন না। তারপর নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় তদারকির দায়িত্বও উনাদের, উনারা সেটাও করেননি। এখন ভবনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর রাজউককে চিঠি দিলেই রাজউক যেতে পারবে। সূত্র বলছে, অভিযানে যাওয়ার জন্য একজন ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ ও লেবার প্রয়োজন হয়। যা সবসময় চাইলেই পাওয়া যায়না। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকলে নিয়োগের মাধ্যমে তা পূরণ করুক, নিজেদের দায় অন্যজনের উপরে বর্তানো কখনই সমীচিন নয়। আর ভবন মালিক যদি কোনরকম ছলচাতুরির মাধ্যমে এ কাজ করে থাকেন তাহলে যাদের মাধ্যমে এটি সংঘটিত হয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সূত্রটি।
এদিকে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই ভবন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ৩নং সড়কের ৫১ নং প্লটে অবস্থিত বহুতল ভবন মালিকদের একজন মো. রতন, তিনি বলেন ১০৯ ফিট উচ্চতার ছাড়পত্র দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন ওয়েবসাইটেও তাই রয়েছে আমরা সে আলোকেই রাজউক থেকে প্ল্যান পাশ করিয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছি, কী কারণে আমাদের নোটিশ করা হলো তা আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে রাজউক উত্তরা (জোন-১) এর পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোটিশের পরে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্ল্যানের সকল কাগজ ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এলাকাটি মহাখালী অফিসের আওতায় ছিলো তাই সকল কাগজপত্র উত্তরা অফিসে শিফ্ট করে যাচাই বাছাই করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এর বেশী বলাও সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সজল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ওনার মুঠো ফোনে কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অবশেষে ওনাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার উত্তর দেননি।
যোগাযোগ করা হলে সিভিল এভিয়েশনের এটিএম মেম্বার, এয়ার কমান্ডার জিয়াউল হক বলেন, প্রিয়াংকা কর্তৃপক্ষ যে জায়গা দেখিয়ে উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়েছেন সেখানে ভবন নির্মাণ না করে অন্য জায়গায় নির্মাণ করেছেন। মাঠ পর্যায়ে তদারকির বিষয়টি আমাদের আওতায় পড়েনা। এটি সম্পূর্ণ রাজউক দেখবেন। প্রিয়াংকা ব্যতিত নিয়ম বহির্ভূত বহু ভবন রয়েছে ওএলএস এর আওতায় পর্যায় ক্রমে আমরা সকল ভবন মালিকদের নোটিশি প্রক্রীয়া চলমান রেখেছি। উল্লেখিত নোটিশের আলোকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও আমাদের জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণ করতে হবে। যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে সিভিলএভিয়েশন নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজউক ও সিভিল এভিয়েশনের তদারকির অভাব রয়েছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বাড়ছে ঝুঁকি। বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে আশপাশে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। এরই মধ্যে বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি আবাসিক প্রকল্পে নিয়ম না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণের কারণে বিমান অবতরণে ঝুঁকি বেড়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এ ধরণের আরও বহুতল ভবন রয়েছে যা এখনো বিমান ওঠা-নামায় ঝুঁকি রয়েছে। এ প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক প্রকল্পের ব্যাপারে গত ২২ আগষ্ট সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মোট ৬টি বহুতল ভবন-এর বিষয়ে নোটিশ করেছে। এছাড়াও রাজউক ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় মিটিং করেছেন। রাজউক কর্মকর্তারা বহুতল ভবন নির্মাণে দায়ী করছে সিভিল এভিয়েশনকে, অপরদিকে সিভিল এভিয়েশন দায়ী করছে রাজউককে। কোন নোটিশের তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন প্রিয়াংকা সিটির প্রভাবশালীরা। এর আগেও প্রিয়াংকা সিটিকে নোটিশ করা হয়েছিলো কিন্তু তৎকালীন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক সে নোটিশের আলোকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বর্তমানে নোটিশকৃত ভবনগুলো বিমানবন্দর রানওয়ের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকির পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশী রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর হওয়ায় সবসময় বিমান আসলেই অবতরণের সুযোগ থাকে না, আবার কখনো কখনো সিগনাল বা অন্য কোন কারণে অবতরণে ব্যর্থ হলে সে বিমান আবারও আকাশে উড়তে হয়। সে সময়ে এ ভবনগুলোর কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকে উড়ন্ত বিমানগুলো।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কী করে এ নকশার অনুমোদন দিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে সচেতন মহলে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক নোটিশে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবন স্থাপনার অনুমোদিত অংশ অপসারণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ প্রসঙ্গে। সেখানে বলা হয়েছে অর্ডিনারি লাষ্ট স্কয়ার্স (ও,এল,এস) সাধারণ নিম্নতম বর্গক্ষেত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫০ ফিট রয়েছে, সেখানে ১১০ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নোটিশের মাধ্যমে। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি ১নং সড়কের ২৬ ও ৯ নং প্লটে ৩৫ ও ৩৬ ফিটের উচ্চতা ছাড়পত্র নিয়ে ৮০ ফিট উচ্চতার ৭তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। একই সড়কের ১৩ ও ৩০নং প্লটে ৪৬ ফিটের ছাড়পত্র নিয়ে নির্মাণ করেছেন ৯০ ফুট উচ্চতার অষ্টম তলা ভবন। আবার ৩২নং প্লটে ৫৬ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়ে ৯০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ৩নং সড়কের ৫১নং প্লটটি ৭৩ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়ে ১১০ ফুট উচ্চতার ১০তলা ভবন নির্মাণাধীদিন রয়েছে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। আবার সিভিল এভিয়েশনের ওয়েবসাইটে উচ্চতার ছাড়পত্র যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, ৩নং সড়কের ৫১নং প্লটটির উচ্চতার ছাড়পত্র দেখানো হয়েছে ১১০ ফুট। আবার সে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষই এখন ৭৩ ফুট উচ্চতার বদলে ১১০ ফিট উচ্চতার ভবন নির্মাণ করায় নোটিশ করেছেন ভবন মালিককে। বাকি পাঁচটি ভবন মালিকের সাথে কথা বলতে না পারায় তাদের বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি। তবে সিভিল এভিয়েশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, এলাকাটি মারাত্মক রেস্ট্রিকটেড, (ও,এল,এস) সাধারণ নিম্নতম বর্গক্ষেত্র অনুযায়ী ম্যাপে এ উচ্চতা দেখানো হয়েছে ১৫০ ফুট কিন্তু এখানে ১১০ ফুট উচ্চতার ছাড়পত্র দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এ ছাড়পত্র কিভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সূত্রটি। বিমানবন্দরের মতো এলাকায় আন্তর্জাতিক আইনে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের এবং আশপাশের এলাকার যে সীমারেখা রয়েছে সে সীমারেখার মধ্যে এত বড় ভুল হওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের ভাষ্য, যখন প্ল্যান পাশ করা হয়েছে তখন সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি দেখেই প্ল্যান করা হয়েছে, এখানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ দায় এড়াতে পারেন না। তারপর নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় তদারকির দায়িত্বও উনাদের, উনারা সেটাও করেননি। এখন ভবনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর রাজউককে চিঠি দিলেই রাজউক যেতে পারবে। সূত্র বলছে, অভিযানে যাওয়ার জন্য একজন ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ ও লেবার প্রয়োজন হয়। যা সবসময় চাইলেই পাওয়া যায়না। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকলে নিয়োগের মাধ্যমে তা পূরণ করুক, নিজেদের দায় অন্যজনের উপরে বর্তানো কখনই সমীচিন নয়। আর ভবন মালিক যদি কোনরকম ছলচাতুরির মাধ্যমে এ কাজ করে থাকেন তাহলে যাদের মাধ্যমে এটি সংঘটিত হয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সূত্রটি।
এদিকে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই ভবন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ৩নং সড়কের ৫১ নং প্লটে অবস্থিত বহুতল ভবন মালিকদের একজন মো. রতন, তিনি বলেন ১০৯ ফিট উচ্চতার ছাড়পত্র দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন ওয়েবসাইটেও তাই রয়েছে আমরা সে আলোকেই রাজউক থেকে প্ল্যান পাশ করিয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছি, কী কারণে আমাদের নোটিশ করা হলো তা আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে রাজউক উত্তরা (জোন-১) এর পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোটিশের পরে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্ল্যানের সকল কাগজ ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এলাকাটি মহাখালী অফিসের আওতায় ছিলো তাই সকল কাগজপত্র উত্তরা অফিসে শিফ্ট করে যাচাই বাছাই করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এর বেশী বলাও সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সজল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ওনার মুঠো ফোনে কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অবশেষে ওনাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার উত্তর দেননি।
যোগাযোগ করা হলে সিভিল এভিয়েশনের এটিএম মেম্বার, এয়ার কমান্ডার জিয়াউল হক বলেন, প্রিয়াংকা কর্তৃপক্ষ যে জায়গা দেখিয়ে উচ্চতার ছাড়পত্র নিয়েছেন সেখানে ভবন নির্মাণ না করে অন্য জায়গায় নির্মাণ করেছেন। মাঠ পর্যায়ে তদারকির বিষয়টি আমাদের আওতায় পড়েনা। এটি সম্পূর্ণ রাজউক দেখবেন। প্রিয়াংকা ব্যতিত নিয়ম বহির্ভূত বহু ভবন রয়েছে ওএলএস এর আওতায় পর্যায় ক্রমে আমরা সকল ভবন মালিকদের নোটিশি প্রক্রীয়া চলমান রেখেছি। উল্লেখিত নোটিশের আলোকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও আমাদের জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণ করতে হবে। যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে সিভিলএভিয়েশন নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।