
ফরিদপুরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন এবং মিরসরাইয়ে ট্রাক চাপায় তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় এবং দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আমাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকার আব্দুল্লাপুর থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রীন এক্সপ্রেস নামে একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়ি পরিবহনের বাসের মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়।
নিহতদের সবাই খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সাফায়াত গাজীর ছেলে আবু বক্কর গাজী (৫৫), বাবু মোড়লের ছেলে ঈসা মোড়ল (৪০)।
নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাহউদ্দিন চৌধুরী।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনায় ৩০ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আলীম গাজী (৩৭), আলাউদ্দিন (২৭), ফিরোজ (৩৩), মারুফ হোসেন (৩৫), আব্দুর রহিম (১৯), খোকন (১৫), শাহীন (১৬), শফিকুল (৩৪), আমজাদ হোসেন (৩৫), মীম (১৮), সাতক্ষীরার আবু দাউদ (৩৫), নূর আলম (২৭), নূর ইসলাম (৩০), নাজমুল (২৭), নাসিমা (২৭), খাদিজা (৪০), মিজানুর (৩০), পলাশ (২৭), তুলি (২৮), কাশেম (৩৫), আজাদ (২৭), সোহেল (২২), রবিউল (৩০), জসিম (৪০), নাইমুল (২৪), মো. মাইনুদ্দিন (২৫), পিঞ্জিরা (১৫), মাহবুব (৪৭), রেজাউল (৪০) ও জাহিদ (৩৫)।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি গাড়ির দুটি অধিক গতিতে ছিল, চালকদের চোখেও ছিল ঘুম, আর এ কারণেই হয়তো নিজস্ব লেন চেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানিয়েছেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা, আহতদের ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও কেন বারবার একই জায়গায় দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হবে বলছেন জেলা প্রশাসক।
আমাদের মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা এলাকায় ট্রাকচাপায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই অটোরিকশাচালকসহ আরও তিনজন।
নিহতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৪৫), কাজল রেখা (২২) ও ৬ মাস বয়সী শিশু আনাস। তাদের মধ্যে নুরজাহান বেগম ও কাজল রেখা সম্পর্কে মা-মেয়ে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে উল্টোপথে ঢাকামুখী একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অটোরিকশায় ৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় এবং দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আমাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকার আব্দুল্লাপুর থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রীন এক্সপ্রেস নামে একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়ি পরিবহনের বাসের মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়।
নিহতদের সবাই খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সাফায়াত গাজীর ছেলে আবু বক্কর গাজী (৫৫), বাবু মোড়লের ছেলে ঈসা মোড়ল (৪০)।
নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাহউদ্দিন চৌধুরী।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনায় ৩০ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আলীম গাজী (৩৭), আলাউদ্দিন (২৭), ফিরোজ (৩৩), মারুফ হোসেন (৩৫), আব্দুর রহিম (১৯), খোকন (১৫), শাহীন (১৬), শফিকুল (৩৪), আমজাদ হোসেন (৩৫), মীম (১৮), সাতক্ষীরার আবু দাউদ (৩৫), নূর আলম (২৭), নূর ইসলাম (৩০), নাজমুল (২৭), নাসিমা (২৭), খাদিজা (৪০), মিজানুর (৩০), পলাশ (২৭), তুলি (২৮), কাশেম (৩৫), আজাদ (২৭), সোহেল (২২), রবিউল (৩০), জসিম (৪০), নাইমুল (২৪), মো. মাইনুদ্দিন (২৫), পিঞ্জিরা (১৫), মাহবুব (৪৭), রেজাউল (৪০) ও জাহিদ (৩৫)।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি গাড়ির দুটি অধিক গতিতে ছিল, চালকদের চোখেও ছিল ঘুম, আর এ কারণেই হয়তো নিজস্ব লেন চেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানিয়েছেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা, আহতদের ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও কেন বারবার একই জায়গায় দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হবে বলছেন জেলা প্রশাসক।
আমাদের মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা এলাকায় ট্রাকচাপায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই অটোরিকশাচালকসহ আরও তিনজন।
নিহতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৪৫), কাজল রেখা (২২) ও ৬ মাস বয়সী শিশু আনাস। তাদের মধ্যে নুরজাহান বেগম ও কাজল রেখা সম্পর্কে মা-মেয়ে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে উল্টোপথে ঢাকামুখী একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অটোরিকশায় ৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।