সরকারের ঘোষণা
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
আন্দোলনে ‘বিপক্ষে’ অবস্থান নেয়া ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন
গ্রেফতারের ঘটনা
৩,০০০+ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৭৪ জনই ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি রয়েছেন
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও এমপি, সাবেক মুখ্য সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামও রয়েছেন
অক্টোবর মাসের ১৩ দিনে তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের ৭৪ জন ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এই আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সাবেক কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, সরকার ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মামলা না করার ঘোষণা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের, গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ‘বিপক্ষে’ অবস্থান নেওয়া চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী এই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নেয়া এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও গ্রেফতার অভিযান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় সতেরশ মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে; যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৭৪ জন ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে পালাবদলের পর জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে পুলিশের ‘প্রতিশ্রুতির’ কথা তুলে ধরে বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রোববার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এসব মামলায় শুধু অক্টোবরের ১৩ দিনেই তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী, হত্যার ইন্ধনদাতা ও নির্দেশ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা হয়েছে।
এহেন জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকারি দলের নেতৃস্থানীয় হাই প্রোফাইল ৭৪ জন রয়েছে এই গ্রেফতারের তালিকায়।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এরপর একে একে গ্রেফতার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর নেতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
টানা অভিযানে গ্রেফতারদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য।
গ্রেফতার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
রাজনীতিবিদদের বাইরে সাবেক মুখ্য সচিবসহ একাধিক সাবেক সচিব, পুলিশের আইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রেফতার হয়েছেন।
তবে গ্রেফতার এসব প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, নেতা, সাবেক সরকারি আমলা ও পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের জামিন পেয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নান।
অভিযান অব্যাহত থাকার কথা তুলে ধরে পুলিশ সদর দফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই।
পুলিশের সেবা হবে হয়রানি মুক্ত, জনবান্ধব। কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় তা বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করবে।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ‘যুগান্তকারী মাইলফলক’ হিসেবে তুলে ধরে পুলিশ সদর দফতর বলেছে, যা সকলের জন্য অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
এ অগ্রযাত্রায় ছাত্র-জনতা ও আপামর জনসাধারণের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ নিত্য সারথী হয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
আন্দোলনে ‘বিপক্ষে’ অবস্থান নেয়া ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন
গ্রেফতারের ঘটনা
৩,০০০+ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৭৪ জনই ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি রয়েছেন
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও এমপি, সাবেক মুখ্য সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামও রয়েছেন
অক্টোবর মাসের ১৩ দিনে তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের ৭৪ জন ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এই আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সাবেক কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, সরকার ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মামলা না করার ঘোষণা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের, গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ‘বিপক্ষে’ অবস্থান নেওয়া চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী এই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নেয়া এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও গ্রেফতার অভিযান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় সতেরশ মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে; যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৭৪ জন ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে পালাবদলের পর জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে পুলিশের ‘প্রতিশ্রুতির’ কথা তুলে ধরে বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রোববার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এসব মামলায় শুধু অক্টোবরের ১৩ দিনেই তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী, হত্যার ইন্ধনদাতা ও নির্দেশ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা হয়েছে।
এহেন জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকারি দলের নেতৃস্থানীয় হাই প্রোফাইল ৭৪ জন রয়েছে এই গ্রেফতারের তালিকায়।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এরপর একে একে গ্রেফতার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর নেতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
টানা অভিযানে গ্রেফতারদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য।
গ্রেফতার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
রাজনীতিবিদদের বাইরে সাবেক মুখ্য সচিবসহ একাধিক সাবেক সচিব, পুলিশের আইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রেফতার হয়েছেন।
তবে গ্রেফতার এসব প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, নেতা, সাবেক সরকারি আমলা ও পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের জামিন পেয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নান।
অভিযান অব্যাহত থাকার কথা তুলে ধরে পুলিশ সদর দফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই।
পুলিশের সেবা হবে হয়রানি মুক্ত, জনবান্ধব। কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় তা বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করবে।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ‘যুগান্তকারী মাইলফলক’ হিসেবে তুলে ধরে পুলিশ সদর দফতর বলেছে, যা সকলের জন্য অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
এ অগ্রযাত্রায় ছাত্র-জনতা ও আপামর জনসাধারণের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ নিত্য সারথী হয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।