তদন্ত কমিটি গঠন

কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিভেছে ১১ ঘণ্টা পর

আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০১:২৮:০২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০১:২৮:০২ অপরাহ্ন

* জাহাজের ৩১ জন ক্রুকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন সোয়া ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল।
জাহাজের ৩১ জন ক্রুকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের কমিটি গঠন করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে
শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলের পশ্চিমে বহিঃনোঙর এলাকায় ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
পরে কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি।
জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায় এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়।
কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ।
তিনি বলেন, জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।
এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি কোন ধরনের নাশকতা- তা জানতে কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান খন্দকার মুনিফ তকি।
তবে জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কি পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এ ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে।
এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, তাদের তিনটি অগ্নিনির্বাপক টাগবোট কাণ্ডারি ৩, ৪ ও ১০ আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা এটি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি নামের একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাংলার সৌরভ নামের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। ওই জাহাজটিও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net