আগামী ১৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দেবীপক্ষ

বিসর্জনে সাঙ্গ দুর্গতিনাশিনীর বন্দনা

আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ১২:২৪:১০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ১২:২৪:১০ পূর্বাহ্ন
দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামী বছরের অপেক্ষায় থেকে দুর্গতিনাশিনী দেবীকে দেবালয়ে বিদায় জানালেন ভুবনের বাসিন্দারা।
ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় দেবীর নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তার সাঙ্গ হল বিজয়া দশমীতে। এবার তিথির কারণে মহানবমী পূজার পরই শনিবার দশমীর বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ কারণে শনিবারই বিজয়া দশমীর পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনীর কাছে অশুভ শক্তির বিনাশের প্রার্থনা শেষ করেছেন ভক্তরা। আর গতকাল রোববার কেবল দেবী দুর্গার প্রতিমা আনুষ্ঠানিকভাবে বিসর্জন হচ্ছে।
রীতিনুযায়ী, গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে তেল, সিঁদুর আর পান-চিনিতে অশ্রু সজল নয়নে বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবছরের মতো এবারও বিসর্জনের প্রধান স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।
পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট, অভয়মিত্র ঘাট এবং বিভিন্ন এলাকার পুকুরেও দেওয়া হয়েছে বিসর্জন। তবে বৈরী আবহাওয়ার জন্য এবছর পতেঙ্গা সৈকতে অনেকে না গিয়ে কর্ণফুলী নদীতে বিসর্জন সম্পন্ন করেছেন।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, সকাল ১০ টা থেকে বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে পূজার্থীরা প্রতিমা বিসজর্নে আসতে শুরু করেছেন।
বিসর্জন ঘিরে সৈকত ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিসর্জনের জন্য সৈকত এলাকায় ৪০০ পুলিশ, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত আছে।
নিরাপত্তার জন্য সৈকত এলাকার দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান উপ কমিশনার শাকিলা।
এদিকে নিরাপদে বিসর্জনের কাজ শুরু করতে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম তৈরি রাখা হয়েছে সৈকতে।
বিভিন্ন এলাকার পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে পতেঙ্গা সৈকতে বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে আসছেন। বিসর্জন দেখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও সৈকতে আসছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের জানান, ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজ ঘাটেও প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে। বিসর্জন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজা শেষে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে যাত্রা করেন দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় ত্রিনয়নীর পূজা।
শাস্ত্র মতে, এবার দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে সপরিবারে মর্ত্যলোকে এসেছেন দোলায় চড়ে। আর ফিরে যাচ্ছেন ঘোড়ায়।
বাঙালি হিন্দুদের মতে, দেবী দুর্গা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের দেবী। একই সাথে তিনি ‘মাতৃরূপেণ’, ‘শক্তিরূপেণ’। গত ২ অক্টোবর মহালয়ার দিন সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের, আগামী ১৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দেবীপক্ষ।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net