ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বনপাড়া সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে কৃষক ইয়াজুল হক বলেন, শুক্কুরবার থাইকা অল্প অল্প পানি আইতে তাহে। রোববারে সব তলিয়ালছে। অহনও পানি নামতাছে না। আগেও পানি আইছে, আবার নাইমা গেছে। এইরহম বড় বন্যা আর অইছে না।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত শুক্রবার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলা প্লাবিত হয়। কিছু সময় পরে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও বন্যার ক্ষত বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছে।
ফুলপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ছনধরা, সিংহেশ্বর, ফুলপুর সদর, বালিয়া ও রূপসী ইউনিয়ন থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পাঁচটি ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। তারা শুকনা চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার করছেন। বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। বন্যার কারণে দুটি মণ্ডপ নির্ধারিত স্থান থেকে সরিয়ে পূজার আয়োজন করতে হচ্ছে।
ফুলপুরের সিংহেশ্বর ইউনিয়নের বনপাড়া সেতুর কাছে কথা হয় হাসান মিয়া (৩৬) এর সঙ্গে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান। পানি আসার খবর পেয়ে গত রোববার বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি জানান, স্ত্রী হাসিনা বেগম ও চার ছেলে-মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন, যেখানে তারাও পানিবন্দী। হাসান বলেন, পানিডা দম ধইরা, দম ধইরা নামতাছে।
বনপাড়া গ্রামে শ্রমিক মফিজ উদ্দিন (৫৮) বলেন, এবার ধান চাষ করছিলাম ১৩ কাঠা জমিতে, যা পানিতে তলিয়ে গেছে। গত রোববার থাইকা এলাকায় পানি আইছে। চাইর দিনে আধহাত পানি কমছে। দম ধইরা থাহে পানি। এমন দীর্ঘ বন্যা আর অইছে না।
ফুলপুরের ইউএনও এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ কার্যক্রম তদারক করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন দল ত্রাণ দিচ্ছে এবং বেসরকারি লোকজন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণ করছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বোরাঘাট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। নড়াইল, বিলডোরা ও শাকুয়াই ইউনিয়নে পরিস্থিতি আজ উন্নতির দিকে। উপজেলার অন্য ৯টি ইউনিয়নেও বন্যার পানি নামছে। ২৫টি গ্রামে ২৪ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে।
ধোবাউড়া উপজেলায় অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদরে পানি ধীরে ধীরে কমছে। এর আগে সাতটি ইউনিয়নের অন্যান্য ইউনিয়নেও পানি কমতে শুরু করেছে। এ উপজেলায় ৪৫ গ্রামে অন্তত ২৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
ধোবাউড়ার ইউএনও নিশাত শারমিন বলেন, পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বন্যায় কৃষি, মৎস্য, পানিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। যাঁরা ত্রাণ বিতরণ করতে আসছেন, তাঁদের পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় কৃষকরা জানান, বন্যার কারণে তাদের চাষাবাদে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ধান, সবজি ও অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে। অনেকেই এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় খাদ্য, সুপেয় পানি, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষকদের মতে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে তাদের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হয়ে যাবে। স্থানীয়রা আশা করছেন, সরকার ও প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে তারা এ সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বনপাড়া সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে কৃষক ইয়াজুল হক বলেন, শুক্কুরবার থাইকা অল্প অল্প পানি আইতে তাহে। রোববারে সব তলিয়ালছে। অহনও পানি নামতাছে না। আগেও পানি আইছে, আবার নাইমা গেছে। এইরহম বড় বন্যা আর অইছে না।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত শুক্রবার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলা প্লাবিত হয়। কিছু সময় পরে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও বন্যার ক্ষত বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছে।
ফুলপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ছনধরা, সিংহেশ্বর, ফুলপুর সদর, বালিয়া ও রূপসী ইউনিয়ন থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পাঁচটি ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। তারা শুকনা চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার করছেন। বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। বন্যার কারণে দুটি মণ্ডপ নির্ধারিত স্থান থেকে সরিয়ে পূজার আয়োজন করতে হচ্ছে।
ফুলপুরের সিংহেশ্বর ইউনিয়নের বনপাড়া সেতুর কাছে কথা হয় হাসান মিয়া (৩৬) এর সঙ্গে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান। পানি আসার খবর পেয়ে গত রোববার বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি জানান, স্ত্রী হাসিনা বেগম ও চার ছেলে-মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন, যেখানে তারাও পানিবন্দী। হাসান বলেন, পানিডা দম ধইরা, দম ধইরা নামতাছে।
বনপাড়া গ্রামে শ্রমিক মফিজ উদ্দিন (৫৮) বলেন, এবার ধান চাষ করছিলাম ১৩ কাঠা জমিতে, যা পানিতে তলিয়ে গেছে। গত রোববার থাইকা এলাকায় পানি আইছে। চাইর দিনে আধহাত পানি কমছে। দম ধইরা থাহে পানি। এমন দীর্ঘ বন্যা আর অইছে না।
ফুলপুরের ইউএনও এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ কার্যক্রম তদারক করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন দল ত্রাণ দিচ্ছে এবং বেসরকারি লোকজন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণ করছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বোরাঘাট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। নড়াইল, বিলডোরা ও শাকুয়াই ইউনিয়নে পরিস্থিতি আজ উন্নতির দিকে। উপজেলার অন্য ৯টি ইউনিয়নেও বন্যার পানি নামছে। ২৫টি গ্রামে ২৪ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে।
ধোবাউড়া উপজেলায় অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদরে পানি ধীরে ধীরে কমছে। এর আগে সাতটি ইউনিয়নের অন্যান্য ইউনিয়নেও পানি কমতে শুরু করেছে। এ উপজেলায় ৪৫ গ্রামে অন্তত ২৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
ধোবাউড়ার ইউএনও নিশাত শারমিন বলেন, পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বন্যায় কৃষি, মৎস্য, পানিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। যাঁরা ত্রাণ বিতরণ করতে আসছেন, তাঁদের পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় কৃষকরা জানান, বন্যার কারণে তাদের চাষাবাদে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ধান, সবজি ও অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে। অনেকেই এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় খাদ্য, সুপেয় পানি, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষকদের মতে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে তাদের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হয়ে যাবে। স্থানীয়রা আশা করছেন, সরকার ও প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে তারা এ সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।