
* আ’লীগ আমলের সিন্ডিকেটে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে
* বাজারে সবজির দামে আগুন, টমেটোর কেজি ২৮০ টাকা
* ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে বলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরও গত দুই মাসে সবচে’ বেশি দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে প্রায় প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষকে স্বস্তি দিতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রতিদিনই স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সে সিন্ডিকেট এখনো ভাঙা হয়নি। এরই মধ্যে ডিম-মুরগির সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এছাড়াও রাজধানীর প্রত্যেকটি বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে সবজির দাম। এক কেজি পাকা টমেটোর দাম ২৮০ টাকায় উঠেছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বেশিরভাগের কেজি এখন ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। সবজির এমন দামে বিস্ময় প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোন পণ্যটির দাম কী পরিমাণ কমেছে এবং কোন পণ্যটি কী দামে বিক্রি হচ্ছে সে তথ্য জানানো হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারে থাকলেও বাজারব্যবস্থায় এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
বাজারের তথ্য বলছে, গত দুই মাসে ডিম, মুরগি, সবজি, কাঁচামরিচ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি অস্থিতিশীল ডিম ও কাঁচামরিচের দাম। দু’একটি পণ্যের দাম কমেছে অতি সামান্য। এছাড়া প্রধান খাদ্যশস্য চালের যে চড়া দাম ছিল, সেটাও বরং আরও একটু বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় দুই মাসে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। কমেছে মাত্র দুটির। বেড়েছে তেল, চিনি, ডিম, মুরগি ও চালের দাম। কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর।
টিসিবির বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৮ আগস্টের তুলনায় গত রোববার মোটা চাল কেজিতে ১ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৬ টাকা, চিনি ৩ টাকা, ডিম হালিতে ৮ টাকা, ব্রয়লার মুরগিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর পেঁয়াজ ও আলুর দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। এসময় বেশ কিছু সবজি ও কাঁচামরিচের দাম বেশি ছিল, তবে এসব পণ্য টিসিবির হিসাবে নেই। পাশাপাশি এসময় ভরা মৌসুমে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ইলিশ মাছ। সেটাও সাধারণ মানুষের বড় উষ্মার কারণ। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বন্যাকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, এসময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের নানান প্রভাব পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় পড়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ সুফল পায়নি।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে পণ্যের দাম বাড়া-কমার কিছু যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণ আছে। এর মধ্যে সুদের হারে লাগাম তুলে নেওয়ায় বাজারে টাকার সরবরাহ কমে পণ্যের চাহিদা কমছে। এতে মূল্যস্ফীতি কমার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাজারে টাকার সরবরাহের ওপর নিত্যপণ্যের সব পণ্যের চাহিদা, জোগান ও দাম ততটা নির্ভর করে না। এসব পণ্যের দাম কমাতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দরকার। তারা বলছেন, বিগত দুই মাসে তেমন কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের মনোপলি ব্যবসার প্রবণতা বেশি। বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অনেক ব্যবসায়ী অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যে কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার।
পণ্যের দাম কমাতে পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল এ সরকার। যা দীর্ঘদিন পেরিয়ে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে এখন। যদিও এ সরকারের শুল্ক প্রত্যাহার ও এর মধ্যে ভারতের শুল্ক কমানোর তুলনায় সেটা খুব নগণ্য। বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। এখন পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি ১০০ টাকার নিচে মিলছে না। এছাড়া কাঁচামরিচের দাম প্রায় ওঠানামা করছে। একদিন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলে পরদিন ৩০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এক কেজি পাকা টমেটোর দাম ২৮০ টাকায় উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা এক কেজি বরবটি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। গাজরের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। উস্তার কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তবে করলা কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি করলা কিনতে ক্রেতাদের ৮০ থেকে ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে পটোল, ঝিঙা, কচুরলতি, কাঁকরোল ও বেগুনের। বিক্রেতারা এক কেজি পটোল ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। কচুরলতির কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টিকুমড়া, কচু কোনো কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। মিষ্টিকুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা পেঁপে ও কাঁচকলা। এক কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচকলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একপোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। নিম্নমানের শসা ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, ভালো মানের শসা কিনতে ক্রেতাদের ৮০ থেকে ১০০ টাকা গুণতে হচ্ছে।
সবজির এমন দাম নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বাজারে এখন কোনো সবজিতে তো হাত দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। সব ধরনের সবজির দামে আগুন। পকেটে ৫০০ টাকা নিয়ে এলে তেমন কোনো বাজার করাই হয় না। সবজির এত দাম কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমাতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা মোশারফ হোসেন বলেন, বাজারে এখন সব ধরনের সবজির দাম অস্বাভাবিক। বেশিরভাগ সবজির কেজি ১০০ টাকার ওপরে। সবজির এত দাম কেন হবে। কয়েক মাস আগে ৫০০ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ সবজি কিনেছি, এখন দুই হাজার টাকা দিয়েও সেই পরিমাণ সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। কিন্তু এখন হঠাৎ করে যে হারে দাম বেড়েছে, তা বিস্ময়কর। এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খেতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে।
সবজির দাম নিয়ে ক্রেতারা বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। অবশ্য কোনো কোনো বিক্রেতাও সবজির দাম নিয়ে হতাশা ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রি করা মো. জামাল বলেন, বৃষ্টির কারণে কয়েক দিন ধরে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সহসা সবজির দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মিলন বলেন, বৃষ্টির কারণে প্রতি বছরই এ সময় সবজির দাম বাড়ে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। আমরা নিজেরাও বুঝি এত বেশি দামে সবজি কেনা ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্টের। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা তো কম দামে সবজি কিনতে পারছি না।
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, সব ধরনের সবজির এখন অস্বাভাবিক দাম। এ কারণে আমাদের বিক্রিও কমে গেছে। আগে যারা এক কেজি করে কিনতেন তাদের অনেকেই এখন আধা কেজি-একপোয়া কিনছেন। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে আমাদের মুনাফাও কমে গেছে। শুধু ক্রেতারা না, বিক্রেতারাও এখন বিপাকে আছেন। অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমার কথা বলা হয়েছে। তথ্য অফিসার আবদুল মালেক এই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন। এতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম বাজার তদারকি করে। এ সময় তদারকি টিম একজন দোকান মালিককে সাত হাজার টাকা জরিমানা করে। রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তদারকি টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, আটা, কাঁচামরিচ, সবজি, মাছ ও মুরগির বাজারে তদারকি করা হয়। টিমের সদস্যরা মূল্যতালিকা টাঙানোসহ পণ্যক্রয়ের কয়েকদিনের রশিদ খতিয়ে দেখেন। মূল্যতালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো, যথাযথভাবে না লেখা, মূল্যতালিকা হালনাগাদ ও সংরক্ষণ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। অভিযানে লক্ষ্য করা যায় গত কয়েক দিনের তুলনায় ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে-বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ের কাঁচাবাজারে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, মুরগি ও চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। মুরগি, চাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের হালনাগাদ করা মূল্যতালিকা টাঙানোর বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। এ অভিযানের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন। অভিযানে একটি দোকানে মূল্যতালিকা না থাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণের ১১ জেলায় আগস্টের বন্যা অন্তত ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি করে দিয়ে গেছে বলে ধারণা দিয়েছে সিপিডি। বেসরকারি এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ক্ষতির ওই অংক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। বন্যায় কৃষি ও বন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এটি মোট ক্ষতির ৩৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যার একটি বড় প্রভাব বাজারে কৃষিপণ্যের দামে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হয়েছে, এটা পণ্যমূল্যে একটি বড় প্রভাব ফেলছে সত্য। আবার এর মধ্যে কিছুদিন ব্যাংক দেনদেনের একটি লিমিট ছিল, ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো এলসি খুলতে পারেননি। এসব কারণে বাজারে সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে তিনি এ-ও বলেন, প্রকৃতপক্ষে যে পরিমাণ সমস্যা হচ্ছে, পাশাপাশি কিছু সুবিধাও রয়েছে। আগের মতো চাঁদা ও অন্যান্য খরচ এখন নেই। তবে সে সুফল ভোক্তারা পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা আগের মতো সিন্ডিকেট করে সংকটের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়াচ্ছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দিয়েছে, এ দুটি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ছিল। শুল্ক কমিয়ে আমদানির ব্যবস্থা করে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে বেঁধে দেয়া দামে কিনতে পারেননি ভোক্তারা।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১১ দশমিক ১ টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করলেও তারা প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিটি ডিম বিক্রি করেছে ১১ দশমিক ৮০ থেকে ১২ দশমিক ৫০ টাকায়। ফলে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। এতে গত ২০ দিনে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এখন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ব্যবসায়ীদের যে উচ্চ মুনাফার প্রবণতা সেটা থেকে বের করে আনতে হবে। পাশাপাশি ডলার সংকট কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্যও সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন।