
প্রতিটি ঘটনার মামলা যেন হয়। সঠিক বিচার এবং কোনো হয়রানি যেন না হয়। পাহাড়ি-বাঙালি যেই হোক, এই ঘটনার জন্য যে বা যারা দোষী কেউ ছাড় পাবে না বলে জানান পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। গতকাল বুধবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের সহিংসতায় আঞ্চলিক পরিষদ, বনরূপা মসজিদ, মৈত্রী বিহারসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা। প্রথমে তিনি (উপদেষ্টা) আঞ্চলিক পরিষদ ভবন পরিদর্শন করেন। পরে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জোতিরিন্দ্র বোদিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ২০ সেপ্টেম্বর শহরে বনরূপায় ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করেন। এ সময় ব্যবসায়ী, মসজিদ ও বিহার কমিটির সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, আপাতত পাহাড়ে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তাই বন্ধ রাখা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে খুলে দেওয়া হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে আইনশৃঙ্খলা-ব্যবস্থা উন্নতি করতে প্রশাসন কাজ করছে। উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপদেষ্টার সঙ্গে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।