ওষুধের দাম অহেতুক বৃদ্ধি বন্ধ করুন

আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ০৫:২৩:০৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ০৫:২৩:০৪ অপরাহ্ন

দেশে গত কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন রোগের ওষুধের দাম গড়ে বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। চলতি বছরের শুরুতেই ওষুধের মূল্যব"দ্ধির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির নেতারা তখন বলেছিলেন, ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়া, গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দর, জ্বালানি সরবরাহ কমে যাওয়া এবং কাঁচামাল ক্রয়ে ডলার সংকটের কারণে ওষুধের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে ওষুধের মূল্যব"দ্ধিতে দেশের মানুষের ওপর আর্থিক চাপ বেড়েছে। এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী পণ্যমূল্যের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে ওষুধের দাম যে মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে, তা শুধু অযৌক্তিক নয়, অন্যায়ও। প্রায় প্রতিবছরই ওষুধের দাম একাধিকবার বাড়ানো হয়। অব¯'াদ"ষ্টে মনে হয়, এ েেত্র কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যূনতম যৌক্তিক অব¯'ানে রাখার কোনো চেষ্টাও দ"শ্যমান নয়। দেখা যায়, একই জেনেরিকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধের দামে অনেক পার্থক্য। এদিকে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর করা রিট আবেদনের শুনানির পর ই্চ্ছামাফিক ওষুধের দাম নির্ধারণে কোম্পানিগুলোকে বিরত রাখতে স্বাস্থ'্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অনুমোদন ছাড়া বিদেশি ওষুধের কাঁচামাল আমদানি, ওষুধ তৈরি-বিক্রি থেকে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে বিরত রাখতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর ৩০ ধারা অনুসারে ওষুধের দাম নির্ধারণে স্বা¯'্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ওষুধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর ৩০ ধারা অনুসারে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বা¯'্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বা¯'্য অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ক্যাব-এর পে করা রিটে বলা হয়েছেÑওষুধ আইন, ১৯৪০ ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর বিধান অনুসারে গেজেটের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার কথা থাকলেও সরকার ২০০০ সাল থেকে তা করছে না। এ সুযোগে কোম্পানিগুলো ই"ছামাফিক ওষুধের দাম নির্ধারণ করে অযৌক্তিক মুনাফা লুটছে। ওষুধ প্র¯'ত, আমদানি ও বিপণনের ব্যবসাটি অন্য দশটি ব্যবসার মতো নয়। ওষুধ একটি সেবাপণ্য। একই ওষুধ বিভিন্ন দামে বিক্রি হতে পারে না। মুনাফার লোভে এ ধরনের প্রবণতা একেবারেই কাম্য নয়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যে বাণিজ্যিক সুবিধা নিচ্ছে তা অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net