
* শেরপুরে মৃত্যু বেড়ে ৭, ২৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
* নেত্রকোনায়া রেললাইনে উপচে যাচ্ছে পানি
শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি উপজেলায় উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বন্যায় শেরপুরে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। নালিতাবাড়ী উপজেলার নতুন চারটি ইউনিয়নের ৭১টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, ফলে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। একই সঙ্গে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০৫টি গ্রাম আক্রান্ত হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলার সড়কগুলোও পানিতে ডুবে গেছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহ-জারিয়া রেলপথ। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টিতে নতুন করে চারটি ইউনিয়নের ৭১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলার দুই লেন সড়কটিও ডুবে গেছে।
পানিবন্দী মানুষদের সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর চারটি স্পিডবোট কাজ করছে। এ ছাড়া সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের কাজ অব্যাহত আছে।
নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়লেও উজান এলাকায় নদীগুলোতে পানি কিছুটা কমেছে। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সকাল ১০টায় ভোগাই নদের পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া সকাল থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। এ সময় নদী দুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাঁধ উপচে ঢলের পানিতে উপজেলার পোড়াগাঁও, নয়াবিল, নন্নী, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা প্লাবিত হয়। শনিবার রাত থেকে উজানের পানি নিম্নাঞ্চল যোগানিয়া, মরিচপুরান, কলসপাড় ও রাজনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যোগানিয়া ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার, মরিচপুরান ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১২ হাজার পরিবার, কলসপাড় ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার ও রাজনগর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, রাত থেকে যোগানিয়া ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এ ছাড়া সড়কে পানি থাকায় নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলায় যাতায়াতের দুই লেন সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে গেছে।
কলসপাড় ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, তার ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। লোকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুল ও সড়কে নিয়ে আসা হচ্ছে।
উজানের পানি ভাটিতে নেমে যাওয়ায় নতুন করে এই চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা চারটি স্পিডবোটের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছেন। এ ছাড়া গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ১৫ হাজার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ অব্যাহত আছে বলে জানান ইউএনও।
এদিকে সকাল থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নতুন নতুন আরও এলাকার প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচজন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকারের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২ হাজার ৫৭টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে ১১ কোটি টাকার বেশি।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজয়ানকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা বিদ্যালয়গুলোতে আগামী কয়েকদিন বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায় পানি নেই সেখানে রেগুলার ক্লাস চলবে। কতগুলো বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে সে সংখ্যাটি আজ বিকেল জানা যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।
অপর দিকেতিনদিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১০৫টি গ্রাম। প্রায় সাড়ে তিনশ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহ-জারিয়া রেলপথের রেললাইন। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
দুর্গাপুর উপজেলার বড় নদী সোমেশ্বরী, জারিয়ার কংস ও কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। কলমাকান্দার মহাদেও, সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কংস, মগড়া, খালিয়াজুরীর ধনুসহ বিভিন্ন ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ মিটার নিচ দিয়ে, কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ মিটার নিচ দিয়ে এবং উব্দাখালীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, জারিয়া পয়েন্টে ১০ দশমিক ৫৫ মিটার আর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৬ দশমিক ৫৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভোর থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৭২ ঘণ্টায় ৩৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জারিয়া ঝাঞ্জাইল স্টেশনে ৬৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এতে জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। শেরপুরের ভোগাই-কংসের পানি জারিয়া এলাকায় কংস নদ দিয়ে কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদ-নদীগুলোর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানিতে দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া, কাকৈইগড়া, বাকলজোড়া, চণ্ডীগড় ও গাঁওকান্দিয়া; কলমাকান্দার রংছাতি, লেংগুরা, খারনৈ, নাজিরপুর, কৈলাটি, পোগলা, বড়খাপন ও কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০০ হেক্টর আমনের ক্ষেত ডুবে গেছে। চানপুর-গোবিন্দপুর, কলমাকান্দা-বওরাকোনা, কলমাকান্দা-বিষমপুর, কলমাকান্দা-মনতলাসহ বেশকিছু সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি উঠেছে।
কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের নিচু এলাকায় ধানক্ষেত ডুবে গেছে। বিশেষ করে বেনুয়া, চানকোনা, খলা, সাকুয়া, ইন্দ্রপুর, বিষমপুরসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
লেংগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নটি ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা। শনিবার রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোর থেকে ৩৬টি গ্রামেই পাহাড়ি পানি এসেছে। বালুচরা, জয়নগর, ঘোড়াগাঁওসহ বেশকিছু এলাকায় সড়ক স্থানে স্থানে ভেঙে গেছে। তবে এসব এলাকার পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও আমন ফসলের প্রচুর ক্ষতি হবে।
শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলার প্লাবিত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে তিন টন চাল ও ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেন। আজ সকালেও কলমাকান্দা উপজেলায় যান তিনি।
দুর্গাপুরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে আছে।
কলমাকান্দার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শহিদুল ইসলাম জানান, আটটি ইউনিয়নের প্রায় ৬৬টি গ্রামের নিচু এলাকায় প্রায় ২০০ হেক্টর ধানক্ষেতে পানি উঠেছে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা না।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বধলায় দুর্গত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
পাউবোর নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালী, ধনুসহ বড় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায়। দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠলেও ভারী বৃষ্টি না হলে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার জন্য নগদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০ মেট্রিক টন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।