আতঙ্কে জনপদ

লক্ষ্মীপুরে দুর্গম চরে ধরা পড়ল বিশাল কুমির

আপলোড সময় : ০৪-১০-২০২৪ ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-১০-২০২৪ ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুর্গম চর ঘাসিয়া এলাকায় প্রায় ৫ মণ ওজনের ধরাপড়া বিশাল কুমিরটি গতকাল বৃহস্পতিবার বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, উদ্ধার হওয়া কুমিরটি বাবুল নামের এক জেলের পায়ে কামড় দিয়ে মাংস নিয়ে গেছে। পরে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ২০ দিন আগে আরও একটি কুমিরের দেখা মেলে ওই চরে। তবে সাইজে ওই কুমিরটি ছোট ছিল। বারবার কুমিরের দেখা মেলায় স্থানীয় জনপদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা শাহ আলম মাঝি বলেন, কুমিরটিকে আমার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে আমাদের বসতবাড়িতে কুমিরটি আসে। পরে সেটি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করলে তারা কুমিরটি ধরার উদ্যোগ নেন। পরে রাতে কুমিরটি আমাদের হাঁসমুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হই।
মোবারক মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মেঘনা নদীর দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন এলাকা থেকে স্রোতের সঙ্গে কুমিরটি আমাদের অঞ্চলে চলে আসে। পরে মেঘনা নদী থেকে চরের ফসলি খেত অতিক্রম করে কুমিরটি ঘটনাস্থল এসে অবস্থান নেয়।
কুমির আটককারী সিরাজ মিয়া বলেন, লোকজনের সহায়তায় কুমিরটি ধরে বেঁধে ফেলি। পরে বন বিভাগ কুমিরটি নিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা খলিল মাঝি ও শরীফ হোসেন জানান, চরের দিকে আরও কুমির থাকতে পরে। গত এক মাস আগে থেকে লোকজন নদীতে এবং খালে কুমির দেখতে পায়। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ মাস্টারের পুরাতন মাছঘাটে বাবলু নামের এক ব্যক্তিকে একটি কুমির কামড় দেয়। তার ডান পায়ের ওপরের অংশের মাংস ছিঁড়ে নেয়। তাকে বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিলাল হোসেন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ২০ দিন আগে আমি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে ঘুরতে যাই। তখন খালপাড়ে একটি কুমির দেখতে পাই। মুঠোফোনেও কুমিরের ছবি ধারণ করি। এলাকায় আরও কুমির থাকতে পারে। এজন্য মানুষ এখন নদীতে নামতে ভয় পাচ্ছে। রাতে চলাফেরাতেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফয়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটিকে আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।
রায়পুর উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটিকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যার কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে কুমির এ অঞ্চলে চলে আসতে পারে। তবে কোন এলাকা থেকে এসেছে তা বলা যাচ্ছে না।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net