প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আইনজীবীদের শুধু পরীক্ষা পাসের জন্য নয়, পড়তে হবে আইনের বিধানগুলো মনেপ্রাণে ধারণ ও চর্চার জন্য। তবেই আইনজীবী হিসেবে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আইন পেশায় সফলতার জন্য সংক্ষিপ্ত কোনো পথ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে সমিতির শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন সফল আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণ এবং আইনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আদালতকে সহায়তা করাই একজন প্রকৃত আইনজীবীর কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত আইন পরিবর্তন হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ আদালত নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আইনজীবীদের আইনের সর্বশেষ বিধান সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল মনসুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির বকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবু জাহির, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হাসানুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা, পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-অর রশিদ। বক্তৃতা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল মজিদ খান। অনুষ্ঠানে আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র তিন আইনজীবী নুরুল আমিন, স্বদেশ রঞ্জন বিশ্বাস ও রঞ্জিত কুমার দত্তকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বিচারপতি জেলা আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে প্রধান বিচারপতি হবিগঞ্জ ‘ল’ কলেজে মুট কোর্ট উদ্বোধন করেন।