
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরে কর্মরত তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. মঞ্জুর আলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ এর বিরুদ্ধে স্বৈরশাসক পতনের কয়েকদিন পর থেকে বদলী বাণিজ্য, এলজিইডির বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পে স্বৈরশাসক আমলে নিয়োগ পাওয়া অন্তত বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী প্রকল্প পরিচালক স্বপদে বহাল রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। গত আগষ্ট মাসে প্রধান প্রকৌশলীর উপর প্রভাব খাটিয়ে প্রায় শতাধিক উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীদের বদলী করিয়েছেন, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এতে করে প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মঞ্জুর আলী সরকারের বিধি অমান্য করে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ব্যবহার করা গাড়ী নং- ১৩-৬১১০ দখল করে ব্যবহার করছেন। একই সাথে অর্থের বিনিময়ে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ১৭টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে তৎপর হয়ে উঠেছেন। হঠাৎ করেই তিনি তার ভাই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ এর ড্রাইভার মো. জিয়া এলজিইডি জিয়া কর্মচারী পরিষদ এর ব্যানারে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিকট থেকে বদলী বাণিজ্যের নামে চাঁদাবাজী ও অনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সাবেক স্বৈরশাসক আমলে অর্থ ও তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালক হওয়া বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্বপদে বহাল রাখার জন্য অনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এসব প্রকল্প পরিচালকরা হচ্ছেন ইউওজডঝচ, ইঔচ ও ওইজচ এর সব প্রকল্প পরিচালক মো. আদনান আকতারুল আলম, ঈউজঝঝডজগচ এর প্রকল্প পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ঈঅঋউজওজচ এর প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল আলম, ওটএওচ এর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল বারেক ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম ভিত্তিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আমিনুর রশিদ চৌধুরী প্রমুখদের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসক আমলে শত শত কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ের নামে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নিবিড় ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের দাবি গণ দাবিতে রূপ নিচ্ছে। এছাড়াও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডির প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেনকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ৫ম গ্রেডসহ তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণে বাধ্য করছে। এতে করে এলজিইডির শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হবে বলে বিজ্ঞজনরা মত প্রকাশ করছেন। এলজিইডির তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর আলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বদলী, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, অবৈধভাবে গাড়ি ব্যবহার ও স্বৈরশাসক আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রকল্প পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীদের রক্ষা করার যে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তা নিবিড় তদন্তের দাবি জানিয়েছে পর্যবেক্ষক মহল। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মো. মন্জুর আলী ও আব্দুর রউফের মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।