লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে অন্ধকারে রয়েছে জেলার রায়পুরসহ পাঁচ উপজেলার চার লাখ গ্রাহক। এ ছাড়াও এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, হাসপাতালে, বৃহত্তর নোয়াখালী বেঙ্গল সু কারাখানা এবং বিসিক শিল্পনগরীতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে রায়পুরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও সারাদিনে একবারও বিদ্যুৎ আসেনি। আবার কোথাও কোথাও দিনের বেলা বিদ্যুৎ এলেও রাতে বিদ্যুৎ নেই। দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে। অনেকের মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে ব্যবহৃত ও খাবার পানির সংকট। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস। গতকাল রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান জানান, তাদের সাড়ে পাঁচ লাখ গ্রাহকের মধ্যে চার লাখ এখনও বিদ্যুৎহীন। তিনি আরও জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুতের লাইন বিধ্বস্ত হয়ে আছে। গাছপালা পড়ে লাইন ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি পড়ে গেছে। বন্যার কারণেও বিদ্যুতের লাইনের খুঁটি দুর্বল হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে লাইন মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের চার লাখ মিটারের সংযোগে থাকা ১২ লাখের বেশি মানুষ এখন অন্ধকারে রয়েছেন। অপরদিকে, পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গত শনিবার বিকাল এবং সন্ধ্যার পর বিপিডিবির আওতাধীন পৌর এলাকার কিছুকিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। রায়পুর পৌরসভার কাঞ্চনপুর এলাকার গৃহবধূ তাসলিমা খানম জানান, তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক। দুই দিন ধরে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে খাবার ও পর্যাপ্ত পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না। এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কেও ঠিকমতো কথা বলা যাচ্ছে না। মোবাইল ডাটাও চালু হচ্ছে না। বিপিডিবির গ্রাহক পৌর এলাকার বাসিন্দা সেলিম, জসিম ও বাহার উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ চলে গেছে। রাতে কিছু সময়ের জন্য এলেও গত শনিবার ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত (গতকাল রোববার সকাল ৮টা) পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে আছি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পরীক্ষিত রায় বলেন, রামগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা ৩৩ হাজার কেভি লাইনের মধ্যে ত্রুটি ছিল। রামগঞ্জ গ্রিড থেকে এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা লাইনে এখনও ত্রুটি আছে। গত শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ফিডার চালু করতে সক্ষম হই। তবে লাইনের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে থাকার কারণে কিছুকিছু লাইন ছিঁড়ে গেছে। ট্রান্সফরমারের ফিউজ জ¦লে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। মেরামতের কাজ শেষ হলে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বৃষ্টিতেও আমাদের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে অন্ধকারে রয়েছে জেলার রায়পুরসহ পাঁচ উপজেলার চার লাখ গ্রাহক। এ ছাড়াও এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, হাসপাতালে, বৃহত্তর নোয়াখালী বেঙ্গল সু কারাখানা এবং বিসিক শিল্পনগরীতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে রায়পুরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও সারাদিনে একবারও বিদ্যুৎ আসেনি। আবার কোথাও কোথাও দিনের বেলা বিদ্যুৎ এলেও রাতে বিদ্যুৎ নেই। দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে। অনেকের মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে ব্যবহৃত ও খাবার পানির সংকট। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস। গতকাল রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান জানান, তাদের সাড়ে পাঁচ লাখ গ্রাহকের মধ্যে চার লাখ এখনও বিদ্যুৎহীন। তিনি আরও জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুতের লাইন বিধ্বস্ত হয়ে আছে। গাছপালা পড়ে লাইন ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি পড়ে গেছে। বন্যার কারণেও বিদ্যুতের লাইনের খুঁটি দুর্বল হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে লাইন মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের চার লাখ মিটারের সংযোগে থাকা ১২ লাখের বেশি মানুষ এখন অন্ধকারে রয়েছেন। অপরদিকে, পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গত শনিবার বিকাল এবং সন্ধ্যার পর বিপিডিবির আওতাধীন পৌর এলাকার কিছুকিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। রায়পুর পৌরসভার কাঞ্চনপুর এলাকার গৃহবধূ তাসলিমা খানম জানান, তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক। দুই দিন ধরে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে খাবার ও পর্যাপ্ত পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না। এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কেও ঠিকমতো কথা বলা যাচ্ছে না। মোবাইল ডাটাও চালু হচ্ছে না। বিপিডিবির গ্রাহক পৌর এলাকার বাসিন্দা সেলিম, জসিম ও বাহার উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ চলে গেছে। রাতে কিছু সময়ের জন্য এলেও গত শনিবার ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত (গতকাল রোববার সকাল ৮টা) পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে আছি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পরীক্ষিত রায় বলেন, রামগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা ৩৩ হাজার কেভি লাইনের মধ্যে ত্রুটি ছিল। রামগঞ্জ গ্রিড থেকে এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা লাইনে এখনও ত্রুটি আছে। গত শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ফিডার চালু করতে সক্ষম হই। তবে লাইনের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে থাকার কারণে কিছুকিছু লাইন ছিঁড়ে গেছে। ট্রান্সফরমারের ফিউজ জ¦লে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। মেরামতের কাজ শেষ হলে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বৃষ্টিতেও আমাদের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।