নোয়াখালী প্রতিনিধি
ঝড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সংযোগ তার ছিঁড়ে যাওয়ায় দুইদিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত জেলার ২ লাখ ৭৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছেন। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নোয়াখালীতে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। পরে ঝড়ো বাতাসে জেলার বেশকিছু স্থানে বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাতে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের পাশে গাছ পড়ে বিছিন্ন হয়ে যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া জেলা শহরসহ বেশিরভাগ এলাকায় একই অবস্থা ছিল।
যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই; সেসব এলাকার লোকজন মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পেরে প্রায় যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন। অনেকের ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকের বাসা বাড়িতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-এর জন্য ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস থাকলেও চার্জ না থাকায় তাদেরও রাত পার করতে হচ্ছে অন্ধকারে।
ভুক্তভোগীদের একজন বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর একলাশপুর গ্রামের ডাক্তার বাড়ির ছাদু মিয়া। শুক্রবার রাতে তার বাড়ির পাশে মাজার রোডে একটি গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি কাত হয়ে যায় এবং তার ছিঁড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাদু বলেন, ঘরে বন্যার পানি; তার উপর বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের কষ্টের সীমা নেই। অন্ধকারে এলাকাবসীর মাঝে চুরি-ডাকাতির ভয় বেড়েছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত কেউ আসেনি।
একই গ্রামের মো. বাহার জানান, শুক্রবার রাতে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের পাশে গাছ পড়ে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর পর রোববার দুপুরে সেখান থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। যার কারণে কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। তাছাড়া ফ্রিজের খাবারও সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক বাহার আলম জানিয়েছেন, দাদপুর বাজারে পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের আওতাধীন আশপাশের পাঁচটি ইউনিয়নে গত তিনদিন থেকে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকা আমরা কি যে কষ্টে আছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। রাতে অন্ধকার অর দিনে-রাতে অসহনীয় গরম। ফ্রিজের খাবারগুলো নষ্ট হয়ে গন্ধ বের হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।
ওই উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। অনেক কষ্টে আছি।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা মোট ৭ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। বাকি ২ লাখ ৭৬ হাজার গ্রাহক এখনও পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, এমন অনেক এলাকা আছে, যেখানে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কাজ করতে যেতে পারছে না। এরপরও আমাদের লোকজন ছিঁড়ে যাওয়া তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে জেলায বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় জেলায় নতুন করে আরও এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩শ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া ৩২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০ লাখ ৬৬৮ জন মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত শনিবার বেলা ১২টা থেকে গতকাল রোববার বেলা ১২ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ঝড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সংযোগ তার ছিঁড়ে যাওয়ায় দুইদিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত জেলার ২ লাখ ৭৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছেন। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নোয়াখালীতে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। পরে ঝড়ো বাতাসে জেলার বেশকিছু স্থানে বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাতে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের পাশে গাছ পড়ে বিছিন্ন হয়ে যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া জেলা শহরসহ বেশিরভাগ এলাকায় একই অবস্থা ছিল।
যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই; সেসব এলাকার লোকজন মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পেরে প্রায় যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন। অনেকের ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকের বাসা বাড়িতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-এর জন্য ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস থাকলেও চার্জ না থাকায় তাদেরও রাত পার করতে হচ্ছে অন্ধকারে।
ভুক্তভোগীদের একজন বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর একলাশপুর গ্রামের ডাক্তার বাড়ির ছাদু মিয়া। শুক্রবার রাতে তার বাড়ির পাশে মাজার রোডে একটি গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি কাত হয়ে যায় এবং তার ছিঁড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাদু বলেন, ঘরে বন্যার পানি; তার উপর বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের কষ্টের সীমা নেই। অন্ধকারে এলাকাবসীর মাঝে চুরি-ডাকাতির ভয় বেড়েছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত কেউ আসেনি।
একই গ্রামের মো. বাহার জানান, শুক্রবার রাতে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের পাশে গাছ পড়ে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর পর রোববার দুপুরে সেখান থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। যার কারণে কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। তাছাড়া ফ্রিজের খাবারও সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক বাহার আলম জানিয়েছেন, দাদপুর বাজারে পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের আওতাধীন আশপাশের পাঁচটি ইউনিয়নে গত তিনদিন থেকে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকা আমরা কি যে কষ্টে আছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। রাতে অন্ধকার অর দিনে-রাতে অসহনীয় গরম। ফ্রিজের খাবারগুলো নষ্ট হয়ে গন্ধ বের হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।
ওই উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। অনেক কষ্টে আছি।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা মোট ৭ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। বাকি ২ লাখ ৭৬ হাজার গ্রাহক এখনও পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, এমন অনেক এলাকা আছে, যেখানে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কাজ করতে যেতে পারছে না। এরপরও আমাদের লোকজন ছিঁড়ে যাওয়া তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে জেলায বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় জেলায় নতুন করে আরও এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩শ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া ৩২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০ লাখ ৬৬৮ জন মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত শনিবার বেলা ১২টা থেকে গতকাল রোববার বেলা ১২ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।