তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে বাংলাদেশ। চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহনীয় গরমে ঘরের বাইরে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্যের প্রখরতায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মঙ্গলবার ছিলো, যা ১৯৭২ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মঙ্গলবার যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ওঠেছে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এরআগে, ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর টানা ৩১ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দুঃসংবাদই দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবারের দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতে আভাস দেখছে আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীদের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও কর্মচারীরাও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে ।
বাংলাদেশে চলমান অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে বিপাকে পড়েছেন কৃষক, দিনমজুর, যানবাহন চালকসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলে। তবে তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ। চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে, এরপরও গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও। তাপদাহের এই তীব্র গরমে ছায়ায় না দাঁড়িয়ে রোদের মধ্যে দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে রিক্সা চালক উজির আলী বলেন, যেসব জায়গায় গাছ বা বিল্ডিংয়ের ছায়া আছে, সেসব জায়গায় দাঁড়ালে যাত্রী পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই এই রোদের মধ্যে দাঁড়াতে হয়েছে। উজির আলী বলেন, গরমে চরম কষ্ট হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাড়িতে পরিবার আছে, তাদের টাকা পাঠাতে হয়। ঢাকায় নিজের খরচ। সব মিলিয়ে রিকশা না চালালে নিজের ও পরিবারের পেটে ভাত জোটে না। তাই বাধ্য হয়েই এই গরমের মধ্যে রিকশা চালাতে হচ্ছে। আগের তুলনায় আয় কমেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গরমের কারণে একটানা রিকশা চালানো যায় না। প্রতিবার যাত্রী বহন করলে, বিশ্রাম নিতে হয়। বেশিক্ষণ চালানো যায় না। এছাড়া গরমের কারণে রাস্তায় যাত্রীও কম।
একই কথা বলেন মো. সুজন নামের এক রিকশা চালক। দুপুরের তপ্ত রোদে ধানমন্ডি-৬ থেকে যাত্রী নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ এ এসেছেন তিনি। গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা। তার মধ্যেও আবার যাত্রী খুঁজছেন তিনি। সুজন বলেন, আমাদের কামাইয়ের যে জোর, বসে থাকার তো সুযোগ নেই। বসে থাকলে খাব কি বাড়িতে বউ-বাচ্চা আছে। তাও তো ইনকাম নেই। কিছুক্ষণ রিকশা চালালে পায়ে জোর পাওয়া যায় না।
দিল মোহাম্মদ নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, গরমে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। তার ওপর স্কুলকলেজ বন্ধ থাকায় যাত্রী কম। একটি ক্ষেপ মারলে আধা ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। আগে রিকশা জমা, খাবার খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা থাকতো। কিন্তু এখন ৩০০-৪০০ টাকা রাখতেও কষ্ট হয়ে যায়। গরমে কেউ কেউ বাড়তি টাকা দিলেও, বেশিরভাগ যাত্রী দেয় না? উল্টো একটু বেশি টাকা চাইলেই ঝগড়া লেগে যায়।
সাইন্সল্যাব এলাকায় যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, গরমে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের দায়ে বের না হয়ে উপায় নেই। দুপুরে রিকশা কম থাকে, তাই এই সময় বের হয়েছি। এছাড়া এই গরমে টিনের গ্যারেজে শুয়ে থাকাও দায়। তার থেকে বাইরে থাকলে যাত্রীও পাওয়া যাবে, মাঝে মাঝে গাছের নিচে বিশ্রামও নেয়া যাবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মঙ্গলবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪২ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, দাবদাহ থেকে সুস্থ থাকতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কোনো রকম তাপজনিত অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এরআগে, ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর টানা ৩১ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দুঃসংবাদই দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবারের দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতে আভাস দেখছে আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীদের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও কর্মচারীরাও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে ।
বাংলাদেশে চলমান অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে বিপাকে পড়েছেন কৃষক, দিনমজুর, যানবাহন চালকসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলে। তবে তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ। চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে, এরপরও গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও। তাপদাহের এই তীব্র গরমে ছায়ায় না দাঁড়িয়ে রোদের মধ্যে দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে রিক্সা চালক উজির আলী বলেন, যেসব জায়গায় গাছ বা বিল্ডিংয়ের ছায়া আছে, সেসব জায়গায় দাঁড়ালে যাত্রী পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই এই রোদের মধ্যে দাঁড়াতে হয়েছে। উজির আলী বলেন, গরমে চরম কষ্ট হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাড়িতে পরিবার আছে, তাদের টাকা পাঠাতে হয়। ঢাকায় নিজের খরচ। সব মিলিয়ে রিকশা না চালালে নিজের ও পরিবারের পেটে ভাত জোটে না। তাই বাধ্য হয়েই এই গরমের মধ্যে রিকশা চালাতে হচ্ছে। আগের তুলনায় আয় কমেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গরমের কারণে একটানা রিকশা চালানো যায় না। প্রতিবার যাত্রী বহন করলে, বিশ্রাম নিতে হয়। বেশিক্ষণ চালানো যায় না। এছাড়া গরমের কারণে রাস্তায় যাত্রীও কম।
একই কথা বলেন মো. সুজন নামের এক রিকশা চালক। দুপুরের তপ্ত রোদে ধানমন্ডি-৬ থেকে যাত্রী নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ এ এসেছেন তিনি। গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা। তার মধ্যেও আবার যাত্রী খুঁজছেন তিনি। সুজন বলেন, আমাদের কামাইয়ের যে জোর, বসে থাকার তো সুযোগ নেই। বসে থাকলে খাব কি বাড়িতে বউ-বাচ্চা আছে। তাও তো ইনকাম নেই। কিছুক্ষণ রিকশা চালালে পায়ে জোর পাওয়া যায় না।
দিল মোহাম্মদ নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, গরমে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। তার ওপর স্কুলকলেজ বন্ধ থাকায় যাত্রী কম। একটি ক্ষেপ মারলে আধা ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। আগে রিকশা জমা, খাবার খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা থাকতো। কিন্তু এখন ৩০০-৪০০ টাকা রাখতেও কষ্ট হয়ে যায়। গরমে কেউ কেউ বাড়তি টাকা দিলেও, বেশিরভাগ যাত্রী দেয় না? উল্টো একটু বেশি টাকা চাইলেই ঝগড়া লেগে যায়।
সাইন্সল্যাব এলাকায় যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, গরমে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের দায়ে বের না হয়ে উপায় নেই। দুপুরে রিকশা কম থাকে, তাই এই সময় বের হয়েছি। এছাড়া এই গরমে টিনের গ্যারেজে শুয়ে থাকাও দায়। তার থেকে বাইরে থাকলে যাত্রীও পাওয়া যাবে, মাঝে মাঝে গাছের নিচে বিশ্রামও নেয়া যাবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মঙ্গলবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪২ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, দাবদাহ থেকে সুস্থ থাকতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কোনো রকম তাপজনিত অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।