আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আজ (গতকাল বুধবার) ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। কিছু জায়গায় হামলা হয়েছে। যেসব কারখানা আজ (গতকাল বুধবার) বন্ধ ছিল কাল (আজ বৃহস্পতিবার) থেকে তা চালু হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বিজিএমইএ-কে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করায় সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছে তারা বহিরাগত। অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না, জানান রফিকুল ইসলাম। বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশ নিজেই আছে অস্থিরতার মধ্যে। আজকের ওসি জানে না কালকে কোথায় বদলি হবে। আর্মির হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকলেও তারা বর্তমানে দুর্বল। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে আজ (গতকাল বুধবার) রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু হবে। এর আগে গতকাল বুধবার চাকরি ও নিয়োগে নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিন দুপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিক পক্ষ।